কলকাতা: বিধানসভার বাইরে সোমবার রাজ্যের আর্থিক দুরাবস্থা এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে একের পর এক তোপ দাগছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেই সময়েই বিস্ফোরক দাবি করেন শুভেন্দু অধিকারী। বলেন, “২ মে’র পরবর্তী সময়ে আমার এবং আমার ভাই(সৌমেন্দু) সহ কিছু নিরপরাধ লোককে আমার ঘনিষ্ঠ আখ্যা দিয়ে যে মামলাগুলি করা হয়েছিল, সেগুলির জন্য কপিল সিবাল, মনু সিংভি, সিদ্ধার্থ সিং এবং কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবীদের মিলিয়ে রাজ্য সরকার প্রায় ২০ কোটি টাকা দিয়েছে। গত ১৬ মাসে আমার বিরুদ্ধে মামলাগুলি করার জন্য এই পেমেন্ট করেছে।” সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর আরও সংযোজন, (২০২১ সালের) ৫ মে’র পর থেকে তাঁর বিরুদ্ধে ২১ টি এফআইআর করা হয়েছে। সেই নথি দেখিয়ে বিরোধী দলনেতা বলেন, “অপরাধ একটাই। ওনার দেওয়া সমস্ত পদ ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া এবং পরবর্তী সময়ে নন্দীগ্রামে তাঁকে হারিয়ে দেওয়া। গতকাল তিনি বলেছেন, প্রতিহিংসা নাকি তিনি নেন না। এর থেকে বড় উদাহরণ আর কোথাও পাবেন না।”
এমনকী ওই অভিযোগগুলির মধ্যে ত্রিপল চুরির অভিযোগও রয়েছে বলে দাবি বিরোধী দলনেতার। শুভেন্দু বলেন, “আইন ভাঙলে গ্রেফতার হতে হবে। আমি দুইবার গ্রেফতার হয়ে লালবাজারে গিয়েছি। বন্ড দিয়ে এসেছি। কিন্তু এখানে ত্রিপল চুরির মামলাও পাবেন। আমি বিরোধী দলনেতা… আমাদের বাড়ির পলিটিক্যাল ট্র্যাডিশন দশকের পর দশক… সেখানে ত্রিপল চুরির অভিযোগ!”
তবে শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্যের পাল্টা দিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষও। শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ২১ টি মামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “অনেক বেশি হওয়া উচিত ছিল। শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলে থাকতে, প্রভাব খাটিয়ে নিজেরে আড়াল করে রাখছিলেন এবং পরবর্তীকালে সিবিআই ও ইডির ভয়ে তো তিনি গিয়েছেন ওখানে। অভিযোগ যদি থাকে, মামলা হয়েছে। সে তো আদালতে বুঝবেন। বাইরে চেঁচাচ্ছেন কেন?” যদিও সরকার কত টাকা ব্যয় করেছে, সেই প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি শাসক শিবিরের।