Suvendu Adhikari: ‘১২,১৪,২১’ -বাংলার রাজনীতিতে ঘুরছে ‘ডিসেম্বর-জল্পনা’

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Dec 09, 2022 | 10:28 PM

Suvendu Adhikari: শাসক শিবিরের দাবি, বিজেপি নেতাদের ঠিক করে দেওয়া দিন-ক্ষণ দেখেই কি আসরে হাজির হয় ইডি বা সিবিআই?

Suvendu Adhikari: ১২,১৪,২১ -বাংলার রাজনীতিতে ঘুরছে ডিসেম্বর-জল্পনা

Follow Us

কলকাতা: ডিসেম্বরে ‘কিছু একটা’ হবে বলে আগেই জল্পনা তৈরি করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি যে মন্তব্য় করেছেন, তাতে সেই জল্পনা বেড়েছে আরও। এবার আর শুধু মাস নয়, ডিসেম্বরের তিনটি দিনের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি- ১২, ১৪ ও ২১ ডিসেম্বর। এই তিন দিনে ঠিক কী কী হবে, এটাই বোধহয় এই মুহূর্তে বাংলার রাজনীতিতে সবথেকে বড় প্রশ্ন। একদিকে যখন বিজেপি নেতারা ইঙ্গিত দিচ্ছেন কোনও প্রভাবশালীর নাম আবারও কোনও কেলেঙ্কারিতে সামনে আসতে পারে। অন্যদিকে, শাসক শিবিরের দাবি, বিজেপি নেতাদের ঠিক করে দেওয়া দিন-ক্ষণ দেখেই কি আসরে হাজির হয় ইডি বা সিবিআই?

কী কী হতে পারে?

রাজনৈতিক চাপান-উতোরের মাঝে নানা জল্পনা ঘোরাফেরা করছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে যখন কোণঠাসা শাসক দল, তখন বিষফোঁড়ার মতো হাজির হবে না তো সারদা মামলা? তৃণমূল ক্ষমতায় আসার কিছুদিন পরই চিটফান্ড-কেলেঙ্কারি সামনে আসে। সে সব মামলায় নাম জড়ানোয় জেলেও যেতে হয় একাধিক নেতাকে। সময় গড়িয়েছে। সেই সব নেতারাই আজ আবার কেউ সাংসদ, কেউ বিধায়ক। সাম্প্রতিক পরিস্থিতির মধ্যেই আবার সারদা মামলা চাপ বাড়াবে কি না, সেই প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে। সূত্রের খবর, সারদা তদন্ত নিয়ে সম্প্রতি নতুন করে তৎপর হয়েছে সিবিআই। তাই সেই মামলায় নতুন কিছু হতে পারে কি না, সেই প্রশ্ন রয়ে যাচ্ছে।

কেউ বলছেন ১২ বা ১৪ ডিসেম্বর বিল আনা হতে পারে লোকসভায়। সব আইপিএস ও আইএসএস আধিকারিকদের নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের হাতে থাকবে, এমন কোনও বিল আসতে পারে বলেও অনুমান রাজনীতির কারবারিদের।

নানা মুনির নানা মত…

বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়কে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘উনি সিনিয়র নেতা। ওঁর অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে। নিশ্চয় কিছু ভেবেই উনি এ কথা বলেছেন। হতে পারে কোনও মামলা। প্রভাবশালীর নাম উঠে আসছে, হতে পারে কেউ আবার গারদে ঢুকবে।’ বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের কথায়, ওই তিনদিন রাজ্যে প্রচণ্ড ঠান্ডা পড়বে। আর শাসকদলের গায়েও সেই ঠান্ডা লাগবে। একইসঙ্গে ১৪ তারিখ যে DA মামলার শুনানি রয়েছে, সেকথাও তিনি স্মরণ করিয়ে দেন।

আর তৃণমূলের তরফে তাপস রায় বলেন, ‘এ সব বলে দলের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছেন।’ তাঁর দাবি, কোনও এজেন্সি যদি সত্যিই তৎপর হয়, তাহলে প্রশ্ন উঠবে কেন্দ্রীয় সংস্থা কি রাজ্যের বিজেপি নেতার কথায় চলে? আর কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের দাবি, কিছু যদি সত্যিই না ঘটে, তাহলে মুখ লুকনোর জায়গা খুঁজে পাবেন না শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতাকে কটাক্ষ করে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “এগুলো বাচ্চাকে ভয় দেখানো। হালুম আসছে বলে আমিও নাতনিকে ভয় দেখাই।”

শেষ পর্যন্ত ঠিক কী হবে, তা হয়ত বলতে পারবেন শুধুমাত্র শুভেন্দুই। বিজেপি যা বলছে, যদি সত্যিই তেমন কিছু হয়, তাহলে তৃণমূলের প্রশ্ন তুলতে সুবিধা হবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এই বার্তা শাসকের ওপর চাপ বাড়ানোর কৌশল নাকি আদতে কিছু হবে? তার বুঝতে আর কয়েকদিনের অপেক্ষা।

Next Article