কলকাতা : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ইতিমধ্যেই দেখা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কথা হয়েছে, রাজ্যের আর্থিক দাবি-দাওয়া নিয়ে। আর এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীকে পাঁচ পাতার একটি চিঠি পাঠালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিষয়টি নিয়ে একটি টুইটও করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। লিখেছেন, কেন্দ্রের প্রতিটি প্রকল্পের জন্য কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক থেকে পাঠানো টাকা ‘সাইফন’ করে নেওয়া পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি ‘ট্রেডমার্ক’ হয়ে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে এই বিশাল আর্থিক দুর্নীতির বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নজরে আনার জন্য চিঠি লিখেছে তাঁকে।” মূলত একশো দিনের কাজ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা এবং প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার কাজে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বেনিয়ম চলছে বলে অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম রাজ্যের ক্ষেত্রে বদল করে দেওয়া হচ্ছে বলে এর আগেও একাধিকবার অভিযোগ তুলেছিলেন বিজেপি নেতারা। এবার কেন্দ্রীয় প্রকল্পের ক্ষেত্রে রাজ্যে দুর্নীতিরও অভিযোগ তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। প্রসঙ্গত, শুক্রবারই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একশো দিনের কাজ থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা সংক্রান্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাজ্যের বকেয়া টাকা সংক্রান্ত ইস্যু তুলে ধরেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার পাল্টা চিঠি দিলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদল করে রাজ্যে প্রণয়ণ করার ক্ষেত্রে টাকার অপব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ শুভেন্দুর। বহু ক্ষেত্রে, বহু মানুষ কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পাননি বলেই অভিযোগ।
Siphoning & diverting funds allocated by the Union Ministry of Rural Development for each & every Central Govt scheme, has been the trademark of WB Govt.
I have written to Hon’ble PM Shri @narendramodi Ji, drawing his attention towards the massive financial scam unfolding in WB: pic.twitter.com/DVtuKWBu2w— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) August 6, 2022
দিল্লি সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা মমতার দেখা করার পরের দিনই শুভেন্দু অধিকারীর এই চিঠি স্বাভাবিকভাবেই বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজ্য রাজনীতির পর্যবেক্ষকরা। শুভেন্দুর এই চিঠি ঘিরে ইতিমধ্যেই বেশ শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।