কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার প্রথম দিনেই ঝরল রক্ত। এর জন্য মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনকেই দায়ী করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একদিনে ভোট করানো নিয়েও সরব নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তাঁর হুঁশিয়ারি, প্যারা মিলিটারি দিয়েই ভোট করানোর ব্যবস্থা হবে। শুক্রবার অনেকটা রাতেই একটি টুইট করেন শুভেন্দু। শুরুতেই লেখেন, ‘মর্নিং শোজ় দ্য ডে…’, তাঁর সংযোজন, “মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার প্রথম দিনই ৫ রাউন্ড গুলি চলল বাংলায়। মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালায়। ফুলচাঁদ শেখ নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়, তিনিই এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রথম বলি। তিন জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।” একইসঙ্গে শুভেন্দু টুইটে উল্লেখ করেছেন, “এই গোটা ঘটনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাই দায়ী থাকবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ নির্বাচনে সঠিক নিরাপত্তা দিতে পারবে না।”
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতেই আচমকাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম এলাকা। কুপিয়ে গুলি করে খুনের অভিযোগ ওঠে ফুলচাঁদ শেখ নামে এক ব্যক্তিকে। তিনি ওই এলাকায় কংগ্রেস কর্মী নামেই পরিচিত ছিলেন। জানা যাচ্ছে, বিকালে বাকি অনেকের সঙ্গে বসে তাস খেলছিলেন ফুলচাঁদ। আচমকাই তৃণমূল আশ্রীত দুষ্কৃতীরা বাঁশ লাঠি, লোহার রড নিয়ে হামলা চালায়। এলোপাথাড়ি মারতে শুরু করে। পালানোর চেষ্টা করলে দুষ্কৃতীরা গুলি চালায়। সেই গুলি এসে লাগে ফুলচাঁদের শরীরে। স্থানীয় বাসিন্দারা যতক্ষণে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করান, তাঁর মৃত্যু হয়। আহত রয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে চিঠি লিখেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। রাতারাতি এই ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ, একজনকে আটক করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবারই ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার প্রথম দিন। সেদিন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে একাধিক অশান্তির খবর মিলেছে। রাতে ঝরেছে রক্ত। রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী আগেই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন করানোর দাবি জানিয়েছেন। শুভেন্দু এও হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছিলেন, ভোটে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হলে দায়ী থাকবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও মুখ্যমন্ত্রী। এবার সেটাও আরও উস্কে দিলেন শুভেন্দু।