কলকাতা: রাঙাপানির কাছে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পর আহতদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সেখানে চিকিৎসা চলেছিল আহতদের। সংকটের মুহূর্তের পরিষেবা দেওয়ার জন্য ঝাপিয়ে পড়েছিলেন হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। প্রায় ৭০ ইউনিট রক্ত দিয়েছিলেন হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাররা। ট্রেন দুর্ঘটনার পর উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ সংকটময় মুহূর্তে যেভাবে কাজ করেছে, তার প্রশংসা করল স্বাস্থ্যভবন।
চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশাপাশি জুনিয়র ডাক্তাররাও যেভাবে এগিয়ে এসেছিলেন, সেটাও নজর এড়ায়নি স্বাস্থ্যভবনের। আপদকালীন পরিস্থিতিতে চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মীদের পাশাপাশি জুনিয়র চিকিৎসকদেরও ভূমিকার প্রশংসা করেছে স্বাস্থ্যভবন। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের গোটা মেডিক্যাল টিমকেই এর জন্য সাধুবাদ জানিয়ে চিঠি লিখেছেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরিকাঠামো গড়ার ক্ষেত্রে নজির গড়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ। এই অভাবনীয় কাজের জন্য ‘টোকেন অব অ্যাপ্রিশিয়েশন’ হিসেবে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের জন্য ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে স্বাস্থ্যভবন থেকে।
উল্লেখ্য, দুর্ঘটনার দিন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে চারদিকে কান্নার রোল পড়ে গিয়েছিল। একের পর এক আহতকে নিয়ে আসা হচ্ছিল হাসপাতালে। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে মোট ৯০ জনের একটি টিম গঠন করে চিকিৎসা চালানো হয়েছিল দুর্ঘটনায় আহতদের। ৭০ ইউনিট রক্ত দিয়ে জুনিয়র ডাক্তাররা সেদিন মানবিকতার নজির গড়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা।