গড়িয়া: গড়িয়ায় তৃণমূল কাউন্সিলের কার্যালয় ভাঙচুরের নেপথ্যেও জোর করে জমি দখল? শনিবারের ভাঙচুরের জন্য অমিত হালদার নামে এক যুবকের নামে অভিযোগ করেছেন রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর পিন্টু দেবনাথ। অমিত হালদারের পাল্টা বক্তব্য, তিনি তৃণমূলেরই সমর্থক। এলাকায় তৃণমূল কাউন্সিলরের প্রশ্রয়ে সফিকুল শেখ, বাপি হাজরা, মানু হাজারিকা বেআইনিভাবে জোর করে জমি দখল করায় তিনি প্রতিবাদ করেন। তারই জেরে গত ৩০ এপ্রিল অমিতকে প্রাণে মারার চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ। সূত্রের খবর, সফিকুলরা এদিন তৃণমূলের কার্যালয়ে রয়েছে এই খবর পেয়ে জলপোলের বাসিন্দারা গড়িয়া স্টেশন সংলগ্ন কার্যালয়ে যান। দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায়। যদিও কাউন্সিলরের বক্তব্য, অমিতরাই দুষ্কৃতীমূলক কাজে জড়িয়ে।
কাউন্সিলার পিন্টু দেবনাথ বলছেন, “যারা হামলা চালিয়েছে তাঁরা এলাকায় অসামাজিক কাজকর্মের সঙ্গে জড়িত। আগে বিজেপি করতো। তবে সম্প্রতি তৃণমূলে আসে।” তিনি এও জানান, পুলিশকে বলা হয়েছে তদন্ত করতে। দলীয় নেতৃত্ব বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। তারা খোঁজ নিয়েছেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একটা বড় অংশের মতে, কাউন্সিলরের মন্তব্যেই স্পষ্ট গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আবহ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, এদিন সকালেই খবর আসে গড়িয়ায় পৌরপিতার কার্যালয়ে দুস্কৃতী হামলা হয়েছে। র্টি অফিসের চেয়ার টেবিল ভেঙে দেওয়া হয়। ঘটনায় বেশ কয়েকজন গুরুতরভাবে আহতও হয়েছেন। রক্তাক্ত ছবিও সামনে আসে। কিন্তু, শুরুতে ঘটনার নেপথ্যে কাদের হাত রয়েছে তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। যদিও কিছু সময় যেতে না যেতেই ছবিটা পরিষ্কার হতে শুরু করে। প্রসঙ্গত, বিগত কয়েকদিনে শহরের নানা প্রান্তে লাগাতার জমি দখলের অভিযোগ এসেছে। হানাহানির ছবিও সামনে এসেছে। কড়া বার্তা দিতে দেখা গিয়েছে শাসকদল তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদেরও। এরইমধ্যে এ ঘটনায় এবার নতুন করে শুরু হয়েছে চাপানউতোর।