কলকাতা: ভয়ঙ্কর অভিযোগ উঠেছে আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালকে ঘিরে। ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ যে দেহ হাসপাতালে পাঠিয়েছিল, সেই দেহই নাকি ডাক্তারি পড়ুয়াদের পড়ানোর জন্য কাটাছেঁড়া করা হয়েছে। কোনওরকম পুলিশি অনুমতি ছাড়াই এই কাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই সংক্রান্ত খবর আগেই প্রকাশ করেছিল টিভি নাইন বাংলা। সেই খবর প্রকাশিত হতেই নড়েচড়ে বসে স্বাস্থ্যভবন। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের থেকে কৈফিয়ৎ তলব করল স্বাস্থ্য ভবন।
ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো দেহ ব্যবহার করে কেন ওয়ার্কশপ করা হচ্ছে? অধ্যক্ষের কাছে সেই উত্তর জানতে চাইলেন স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। অধ্যক্ষের বক্তব্য যাচাই করে তারপর পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে বলেও টিভি নাইন বাংলাকে জানালেন স্বাস্থ্যসচিব। এদিকে বিষয়টি নিয়ে হাসপাতালের ফরেন্সিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রবীর চক্রবর্তী বলছেন, “এই বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। এই বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলতে পারবে।” কিন্তু এমন কিছু ঘটেছে কি ঘটেনি, সেই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি। বিষয়টি নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করা হয়েছিল আর জি করের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের সঙ্গেও। তিনিও বলছেন, “আমি ডিএমই, হেলথ সেক্রেটারির সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে যা বলার বলব।”
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছিল ৫ জানুয়ারি। ওই দিন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ফরেন্সিক বিভাগের পুলিশি মর্গে দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছিল। মেডিক্যাল লিগ্যাল কেসের জন্য সেগুলি পুলিশ পাঠিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। অভিযোগ উঠছে, ওই দিন সকালেই নাকি দেহগুলিকে ইএনটি-র এন্ডোস্কোপিক সাইনাস সার্জারির এক কর্মশালায় ব্যবহার করা হয়েছিল। এরপর সেই কর্মশালা শেষে বিকেল ৫টায় ওই দেহগুলির ময়নাতদন্ত করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। আর এই খবর চাউর হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে চিকিৎসক মহলে। খবর গিয়ে পৌঁছায় স্বাস্থ্যভবনেও। অভিযোগের কথা স্বাস্থ্যভবনে যাওয়া মাত্রই পদক্ষেপ করা হয়। জবাব চাওয়া হয়েছে আর জি করের অধ্যক্ষের থেকেও।