Tab: ১০ হাজারে ৩০০ টাকা কমিশনে ভাড়া! কীভাবে ট্যাবের টাকা ঢুকছে অন্যের অ্যাকাউন্টে জানেন?
Tab: স্কুলের তরফ থেকে বাংলার শিক্ষা পোর্টালে পড়ুয়াদের যাবতীয় তথ্য, এমনকি অ্যাকাউন্ট নম্বরও আপলোড করে। তার ভিত্তিতে ট্যাবের টাকা ইস্যু হয়। এক্ষেত্রে বাংলার প্রত্যন্ত এলাকার অনেক স্কুলের কম্পিউটার অপারেটর নেই। তাঁদেরকে এই কাজ করতে যেতে হয় সাইবার ক্যাফেতে।
কলকাতা: পুলিশের মাথা ব্যথার কারণ এখন ট্যাব দুর্নীতি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক স্কুলের ট্যাবের টাকা পৌঁছেছে বিহারে। তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে এসেছে চমকে ওঠার মতো তথ্য। বেশ কয়েক মাস ধরেই সক্রিয় ছিল ট্যাব প্রতারণা চক্র। উঠে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। ১০ হাজারে ৩০০ টাকা কমিশনে পাওয়া যাচ্ছিল অ্যাকাউন্ট ভাড়া।
স্কুলের তরফ থেকে বাংলার শিক্ষা পোর্টালে পড়ুয়াদের যাবতীয় তথ্য, এমনকি অ্যাকাউন্ট নম্বরও আপলোড করে। তার ভিত্তিতে ট্যাবের টাকা ইস্যু হয়। এক্ষেত্রে বাংলার প্রত্যন্ত এলাকার অনেক স্কুলের কম্পিউটার অপারেটর নেই। তাঁদেরকে এই কাজ করতে যেতে হয় সাইবার ক্যাফেতে। ওই সাইবার ক্যাফে থেকে আইডি পাসওয়ার্ড লিক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। ওটিপি ভেরিফিকেশন হয়। নিম্নস্তরের স্কুলগুলোর আইডি পাসওয়ার্ড লিক হয় বলে জানা গিয়েছে। পরে পোর্টালের অ্যাক্সেসও হ্যাক বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
সরশুনা থানায় ৩১ জন পড়ুয়া অভিযোগ দায়ের করে। তাদের ট্যাব কেনার টাকা তাদের অ্যাকাউন্টে না ঢুকে অন্য অ্যাকাউন্টে ঢুকছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে সরশুনা থানার পুলিশ। তাতে উঠে আসে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার নাম। সেখানে চা বাগানে তল্লাশি চালিয়ে ২জনকে বুধবার গ্রেফতারও করে পুলিশ। তদন্তে জানা গিয়েছে, ধৃতরা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ভাড়া দিয়েছিলেন। ১০ হাজারের টাকা নিতে ৩০০ টাকায় অ্যাকাউন্ট ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। এই অ্যাকাউন্টগুলোর মাধ্যমেই ট্যাবের টাকা লেনদেন করা হচ্ছিল। তদন্তকারীরা মনে করছেন, ট্যাব দুর্নীতির শিকড় অনেক গভীরে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে উৎসের সন্ধানে তদন্তকারীরা।