কলকাতা: কয়েকদিন আগেই বর্ধমান থেকে মহম্মদ হাবিবুল্লাহকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের এসটিএফ। জঙ্গি সংগঠন ‘শাহাদাত’-এর সঙ্গে যোগ থাকার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার জঙ্গি-যোগ থাকার সন্দেহে আরও এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে হাওড়া স্টেশন চত্বর থেকে। পুলিশের হাতে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। গোয়েন্দা সূত্রে জানা যাচ্ছে, গোয়েন্দাদের চোখ এড়াতে ‘অনলাইন দাওয়াত’-এর ব্যবস্থা করেছিল ওই হাবিবুল্লাহ।
হাবিবুল্লাহকে জেরা করে নয়া তথ্য পেয়েছে বেঙ্গল এসটিএফ। সূত্রের খবর, সংগঠন বিস্তারের জন্য সশরীরে ‘দাওয়াত’-এর বিধি চালু করেছিল হাবিবুল্লাহ। কিন্তু তাতে ঝুঁকি অনেক বেশি থাকত। ‘দাওয়াত’ দিতে গিয়ে অনেক নেতা ধরা পড়ার ঘটনাও ঘটেছে। জানাজানির সম্ভাবনাও থাকত। তাই সতর্ক থাকতেই ‘শাহাদাত’ অনলাইন ‘দাওয়াতে’র বিধি চালু করেছিল বলে পুলিশকে জেরায় জানিয়েছে হাবিবুল্লাহ।
হাবিবুল্লাহর একাধিক টেলিগ্রাম চ্যানেল ও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছিল। ‘শাহাদাত’ সম্পর্কে যারা প্রাথমিকভাবে উৎসাহ দেখাত তাদের প্রথমে টেলিগ্রাম বা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জয়েন করানো হত। তারপর যারা আরও উৎসাহী হত, তাদের নিয়ে গ্রুপ ভিডিয়ো কল বা অডিয়ো কল করাত হাবিবুল্লাহ। তারপর একেক জনের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলত। বোঝানো হত মতাদর্শ। তারপর যোগ দেওয়ানো হত।
তবে এই ‘দাওয়াত’ ঠিক কী? ‘দাওয়াত’ হল সংগঠন বিস্তারের একটি নতুন পন্থা। যেখানে একটি নির্দিষ্ট সংগঠন সম্পর্কে উৎসাহী কয়েকজনকে জড় করা হয়। তারপর কোনও একটি জায়গায় তাদের সঙ্গে কথা বলতে যান সেই সংগঠনের ‘আমির’ বা বড় নেতা। তারপর সেখানে মগজ ধোলাই করে সংগঠনের যোগ দেওয়ানো হয়। পুলিশ জানতে পেরেছে, হাবিবুল্লাহর নির্দেশে তার সদস্যরা ভুয়ো আইডি ও নম্বর দিয়ে যোগ দিয়েছিল সংগঠনে। সেই সব সদস্যদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।