কলকাতা : ২০১৪ সালের টেট পাশ করেছেন। তারপর ২০১৯ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ডিপ্লোমা ইন এলিমেন্টারি এডুকেশন কোর্সও করেছেন। কিন্তু সেই কোর্সের কোনও শংসাপত্র এখনও পর্যন্ত হাতে পাননি তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে প্রাথমিক চাকরির জন্য অনলাইনে যে তথ্য জমা নেওয়া শুরু হয়েছে, তাতে আবেদন করতে পারছেন না। তাই অবিলম্বে যাতে তাঁদের হাতে শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়, সেই দাবি নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতর আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র ভবনে ডেপুটেশন জমা দেন প্রায় ২০-৩০ জন চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের বক্তব্য, তাঁরা সকলেই ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণ হয়েছেন। অথচ ডিএলইডি শংসাপত্র না থাকায় তাঁরা ইন্টারভিউতে বসতে পারছে না।
এখনও শংসাপত্র হাতে না পেয়ে সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা। বয়স বাড়ছে তাঁদের। নদিয়া জেলা থেকে আসা বৈশাখী ঘোষ নামে টেট উত্তীর্ণ জানিয়েছেন, “টেট পাশের সার্টিফিকেট রেজাল্ট ছাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। সেই বিষয়টি আমরা ভিতরে গিয়ে জানালাম। জানতে চাইলাম, এ ক্ষেত্রে আমাদের করণীয় কী? ওনারা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, এখনও পরীক্ষার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়নি। স্কুলে স্কুলে গিয়ে যে পরীক্ষা হয়, তা এখনও বেশ কিছু জায়গায় বাকি রয়েছে। সেই কারণে তাঁরা এখনই রেজাল্ট দিতে পারছেন না। কিন্তু ২০১৯-২০২১ সালের ব্যাচের জন্য ২০২২ সালের জুলাই মাসে এসেও যদি বলা হয় পরীক্ষা শেষ করা যায়নি, তাই সার্টিফিকেট পাবে না – এটা খুবই দুঃখজনক ব্যাপার।”
তাঁদের বক্তব্য, এখনই টেট পাশ সার্টিফিকেট পাওয়ার কোনও আশ্বাসই দেওয়া হয়নি। দফতর থেকে তাদের জানানো হয়েছে, স্কুল খোলার ছয় সপ্তাহ পর টেট পাশের সার্টিফিকেট বা রেজাল্ট দেওয়ার ব্যবস্থা হবে। স্কুল খোলার তিন সপ্তাহ পর পরীক্ষা হবে। তারপর দেওয়া হবে সার্টিফিকেট বা রেজাল্টের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এই পরিস্থিতিতে এই টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা আবারও বিশ বাঁও জলে বলেই মনে করছেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ।