কলকাতা: “তদন্ত হলে সব ফাঁস হবে, আসল মাথারা ধরা পড়বে।” বুধবার বিধাননগর হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে গিয়ে বিস্ফোরক দাবি করলেন তৃণমূলের যুবনেতা কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh)। এদিন ইডি-র দফতর থেকে কুন্তলকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে নিয়ে যাওয়া হয়। সাংবাদিকরা তাঁকে ফের নীলাদ্রি ও গোপাল দলপতির প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করেন। তাঁদের নাম শুনে প্রশ্ন এড়িয়ে যান কুন্তল। তিনি বলেন, “তদন্ত হলে সব ফাঁস হবে। আসল মাথারা ধরা পড়বে। ঠিক সময়ে দেখতে পাবেন কে দোষী আর কে নির্দোষ। চক্রান্ত হয়েছে। সব থেকে বড় চক্রান্ত।” বুধবারই কুন্তল ঘনিষ্ঠ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করে ইডি (ED)। সকাল ১১টায় ইডি দফতরে হাজিরা দিয়েছেন তিনি।
কুন্তলের বিরুদ্ধে মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল দাবি করেছিলেন, তিনি চাকরি দেওয়ার নাম করে ১৯ কোটি ৪৪ লক্ষ টাকা তুলেছিলেন। সেই দাবি পক্ষে প্রমাণ পেয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা কুন্তলকে গ্রেফতার করেন। হেফাজতে থাকাকালীন এবার অন্য দাবি করতে থাকেন কুন্তল। তিনি পাল্টা দাবি করেন, তাপস তাঁর কাছ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা ‘ঘুষ’ চেয়েছিলেন। মঙ্গলবার সে প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন তাপসকে। তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেননি। তাঁর বক্তব্য, “টাকা চাইব না, টাকা তো চাইবই। টাকা ওকে রাখতে দেওয়া হয়েছিল।” সেগুলি যে চাকরিপ্রার্থীদের টাকা, তাও স্বীকার করেছেন তিনি। মঙ্গলবারের ম্যারাথন জেরার পর এদিন ফের তাপসকে তলব করেছে ইডি। তবে কুন্তলের বক্তব্য এই নিয়োগ দুর্নীতির মাথা অন্য কেউ। আর তদন্ত হলে সেই বড় মাথারা ধরা পড়বে। কুন্তলের কালো ডায়েরিতে সাংকেতিক আকারে বেশ কয়েকজনের নাম পাওয়া গিয়েছে। বড় মাথাদের নাম কি সেই সংকেতের আড়ালেই? উত্তর খুঁজছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।