কলকাতা: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যকে ভর্ৎসনা করেছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এবার রাজ্যের এক তরফা শুনানি আটকাতে ক্যাভিয়েট দাখিলেন পথে জনস্বার্থ মামলাকারী আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাস। সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করা হতে পারে।
ক্যাভিয়েটের অর্থ যে কোনও মামলায় দু’পক্ষকেই জানিয়েই মামলা শুরু করতে হবে। ঘরছাড়াদের পক্ষে যে সব আইনজীবী লড়ছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন অনিন্দ্যসুন্দর দাস। তিনি নিজেই মামলা করেছিলেন। তাঁর বক্তব্য, রাজ্য যেহেতু ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়েছে, সেহেতু আগামী দিন সুপ্রিম কোর্টে যেতেই পারে। এই মামলা নিয়ে আর্জি প্রকাশ করতে পারে। সে ক্ষেত্রে মামলাকারীরাও যাতে বিষয়টি জানতে পারে সে কারণেই আগেভাগে ক্যাভিয়েট ফাইল করার পরিকল্পনা নিয়েছেন। অর্থাৎ যে কোনও মামলা হলেই রাজ্য সরকারকে এই মামলাকারীদের জানাতে হবে। ফলে তাঁরাও প্রস্তুতির সুযোগ পাবেন।
গত ২০ জুন ভোট পরবর্তী হিংসা সংক্রান্ত আদালতের নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। ১৮ জুন আদালত যে নির্দেশ দিয়েছিল তা-ই আরেক বার বিবেচনার আবেদন জানানো হয়েছে রাজ্যের তরফে। ১৮ তারিখ আদালত বলেছিল, ভোট-পরবর্তী হিংসার ঘটনা খতিয়ে দেখতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কমিটি গড়বে। তারাই সবটা দেখবে। রাজ্যের কাজ হবে শুধু লজিস্টিক সাপোর্ট দেওয়া। সেই নির্দেশেরই পুনর্বিবেচনা চেয়ে আদালতে রাজ্য।
সোমবার সেই আবেদনের শুনানিতে রাজ্যের প্রতি উষ্মা প্রকাশ করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল। কেন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর হয়নি, কেন রাজ্যের মানবাধিকার কমিশনে কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি। তদন্ত ঠিকঠাক পথে এগোচ্ছে না বলেও পর্যবেক্ষণ তাঁর। এরপরই তিনি জানিয়ে দেন আপাতত বৃহত্তর বেঞ্চের নির্দেশই বহাল থাকবে।