কলকাতা: কবি সুভাষ থেকে কলকাতা বিমানবন্দর মেট্রো করিডরে কাজে সহযোগিতা করছে না রাজ্য সরকার। সুর চড়িয়েছে কলকাতা মেট্রো। রুবি থেকে বেলেঘাটা মেট্রো স্টেশন পর্যন্ত কাজ করার ক্ষেত্রে ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসের একাংশ বন্ধ করে কাজ করার প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু, বারবার আবেদন করেও সেই অনুমতি মেলেনি বলে অভিযোগ। যদিও এই অভিযোগ ঠিক নয় বলে জানাচ্ছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়ে থাকে। যে প্রকল্পগুলির কথা বলা হচ্ছে সেগুলি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন তখন সেগুলি পাশ করে গিয়েছেন। প্রকল্পের জন্য যথেষ্ট অর্থ বরাদ্দ ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে। রাজ্য প্রশাসনের তরবের সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই যাদবপুরে পুনর্বাসনের জন্য রাজ্য প্রশাসন ২৭২ কোটি টাকা খরচ করেছে। আমার কাছে যদি আসে আমি অবশ্যই এই সমস্যার কিভাবে সমাধান করা যায় তার ব্যবস্থা করব।” ফিরহাদের দাবি সামনে লোকসভা নির্বাচন বলেই এখন রাজনৈতিক কারণে বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে ফিরহাদ আরও বলেন, “সামনে যেহেতু লোকসভা নির্বাচন তাই রাজনৈতিক কারণে এই বিতর্কগুলিতে রং লাগানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।। এই বিষয়গুলি তিনি অহেতুক বিতর্ক করা হচ্ছে।” সুর চড়িয়েছে লালবাজারও। মেট্রো কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেছে পুলিশ। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না করা এবং সে ব্যাপারে পুলিশকে না জানানোর অভিযোগে সরব হয়েছে লালবাজার। এই সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মেট্রোর তরফে প্রতিনিধি না পাঠানোর অভিযোগেও সরব হয়েছে লালবাজার।
লালবাজারের এক সূত্র বলছে, অনেক ক্ষেত্রেই রাস্তা বন্ধ ৪৫ দিনের কথা বলে ৩ মাস কাটিয়ে দিচ্ছে, নিদিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করতে পারছে না। চিংড়িহাটায় এখন রাস্তা বন্ধ আছে, আবার বন্ধ করলে সাধারণ মানুষে অসুবিধা হবে। এদিকে পথ নিরাপত্তা সপ্তাহের বৈঠক ডাকা হলেও সেখানে অনুপস্থিত ছিল। তবে ডেপুটি কমিশনার ট্র্যাফিক তাদের চিঠি লিখে জানানোর কাজ শুরু করেছে।