Swastha Sathi: স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে বড় ঘোষণা! বরাদ্দ টাকা শেষ হয়ে গেলে কী হবে, জানালেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Nov 15, 2021 | 3:48 PM

Health Department: স্বাস্থ্যসাথী কার্ড সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার ক্ষেত্রে জরুরি। ধীরে ধীরে সেই পরিকাঠামো হচ্ছে, বক্তব্য অজয় চক্রবর্তীর।

Follow Us

কলকাতা: স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা। কার্ডের বরাদ্দ টাকা খরচ হয়ে গেলেও সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করানো যাবে। রবিবার এমনটাই জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী।

অজয় চক্রবর্তী বলেন, “স্বাস্থ্যসাথী কার্ড সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার ক্ষেত্রে জরুরি। ধীরে ধীরে সেই পরিকাঠামো হচ্ছে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না থাকলে চিকিৎসা হবে না। সরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের বরাদ্দ টাকা খরচ হয়ে গেলেও চিকিৎসা করানোর ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হবে না।”

এ কথার রেশ ধরেই স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তীর বক্তব্য, “স্বাস্থ্যসাথী কার্ড কারও যদি না থাকে তাকেও আমরা সরকারি চিকিৎসা পরিষেবা থেকে কোনওরকম ভাবে বঞ্চিত করব না। আমরা জানতে চাই সমস্ত মানুষ স্বাস্থ্যাসাথীর আওতায় এসেছেন কি না। তার কাছে কার্ড আছে কি না। এখনও সরকারি হাসপাতালে দেখা যাচ্ছে ভর্তি হচ্ছেন অনেকেরই কার্ড নেই। এখানেই প্রশ্ন, এত লোকের যে কার্ড হল সেগুলি কি ভুয়ো কার্ড? এই মানুষগুলো কার্ড পেল না কেন? সঙ্গে সঙ্গে কার্ড করে দেওয়াও হচ্ছে।”

এর আগে  এক বৈঠকে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের কড়া বার্তা দিয়ে স্বাস্থ্য অধিকর্তা বলেছিলেন, সরকারি হাসপাতালে সময় না দিয়ে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের লভ্যাংশের বিনিময়ে বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করছেন সরকারি চিকিৎসকদের একাংশ। অজয় চক্রবর্তীর বক্তব্য ছিল, “আমাদের হাসপাতালের যিনি চোখের ডাক্তারবাবু আছেন, তিনি হাসপাতালে অপারেশন করছেন না। অথচ বাইরে গিয়ে প্রচুর অপারেশন করছেন। এখান থেকে আপনি মাইনে নেবেন, অথচ সরকারি পরিষেবা দেবেন না। এটা তো প্রতারণা মানুষের সঙ্গে। এটা হতে পারে না কেউ সরকারি হাসপাতালে চাকরি করছেন অথচ কাজটা এখানে ফাঁকি পড়ছে। দু’ জায়গায় কাজ করুন, সমান ভাবে করতে হবে। কিন্তু হাসপাতালে কিছুই করবেন না, সারা বছরে চারটে অপারেশন করেছেন। সেই তিনিই বাইরে গিয়ে প্রাইভেটে যে কত অপারেশন করেছেন তার হিসাব নেই। এটা চলবে না।”

আম-জনতার চিকিৎসার সুবিধার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে স্বাস্থ্যসাথী পরিষেবা চালু করেছেন। এক কার্ডেই মুশকিল আসান! কিন্তু বহু বেসরকারি হাসপাতাল, নার্সিংহোমে সেই কার্ড না নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। কিছুদিন আগেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড প্রত্যাখ্যান করলে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে সরাসরি সরকারে অভিযোগ জানাতে হেল্পলাইনের বন্দোবস্ত করেছে নবান্ন। নবান্নের তরফে প্রকাশ করা হয়েছে পাঁচটি ফোন নম্বর। তার মধ্যে একটি টোল ফ্রি নম্বর। এছাড়া চারটি নম্বরে স্বাস্থ্যসাথী ফেরানোর অভিযোগ জানাতে পারবেন রোগী ও তাঁর পরিবার।

নবান্নের তরফে মোট ৪টি ফোন নম্বর ও একটি টোল ফ্রি নম্বর প্রকাশ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড যদি কোনও হাসপাতাল গ্রহণ করতে অসম্মত হয়, কার্ডের জন্য রোগী ফিরিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটে তবে ফোন করুন 1800-345-5384 টোল ফ্রি নম্বরে। অর্থাৎ, এই নম্বরটিতে ফোন করতে গেলে কোনও খরচ হবে না। এছাড়া রয়েছে চারটি মোবাইল নম্বর। সেখানেও হেল্প চাইতে পারেন স্বাস্থ্যসাথী বিষয়ক সমস্যার জন্য। এই নম্বরগুলি হল, 9073313211, 9513108383, 8334902900 এবং 9830164268।

আরও পড়ুন: Sanjukta Morcha: কলকাতা-হাওড়ায় একাই লড়বে আব্বাস সিদ্দিকির দল, মোর্চা কি তবে উবেই গেল?

কলকাতা: স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা। কার্ডের বরাদ্দ টাকা খরচ হয়ে গেলেও সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করানো যাবে। রবিবার এমনটাই জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী।

অজয় চক্রবর্তী বলেন, “স্বাস্থ্যসাথী কার্ড সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার ক্ষেত্রে জরুরি। ধীরে ধীরে সেই পরিকাঠামো হচ্ছে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না থাকলে চিকিৎসা হবে না। সরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের বরাদ্দ টাকা খরচ হয়ে গেলেও চিকিৎসা করানোর ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হবে না।”

এ কথার রেশ ধরেই স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তীর বক্তব্য, “স্বাস্থ্যসাথী কার্ড কারও যদি না থাকে তাকেও আমরা সরকারি চিকিৎসা পরিষেবা থেকে কোনওরকম ভাবে বঞ্চিত করব না। আমরা জানতে চাই সমস্ত মানুষ স্বাস্থ্যাসাথীর আওতায় এসেছেন কি না। তার কাছে কার্ড আছে কি না। এখনও সরকারি হাসপাতালে দেখা যাচ্ছে ভর্তি হচ্ছেন অনেকেরই কার্ড নেই। এখানেই প্রশ্ন, এত লোকের যে কার্ড হল সেগুলি কি ভুয়ো কার্ড? এই মানুষগুলো কার্ড পেল না কেন? সঙ্গে সঙ্গে কার্ড করে দেওয়াও হচ্ছে।”

এর আগে  এক বৈঠকে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের কড়া বার্তা দিয়ে স্বাস্থ্য অধিকর্তা বলেছিলেন, সরকারি হাসপাতালে সময় না দিয়ে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের লভ্যাংশের বিনিময়ে বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করছেন সরকারি চিকিৎসকদের একাংশ। অজয় চক্রবর্তীর বক্তব্য ছিল, “আমাদের হাসপাতালের যিনি চোখের ডাক্তারবাবু আছেন, তিনি হাসপাতালে অপারেশন করছেন না। অথচ বাইরে গিয়ে প্রচুর অপারেশন করছেন। এখান থেকে আপনি মাইনে নেবেন, অথচ সরকারি পরিষেবা দেবেন না। এটা তো প্রতারণা মানুষের সঙ্গে। এটা হতে পারে না কেউ সরকারি হাসপাতালে চাকরি করছেন অথচ কাজটা এখানে ফাঁকি পড়ছে। দু’ জায়গায় কাজ করুন, সমান ভাবে করতে হবে। কিন্তু হাসপাতালে কিছুই করবেন না, সারা বছরে চারটে অপারেশন করেছেন। সেই তিনিই বাইরে গিয়ে প্রাইভেটে যে কত অপারেশন করেছেন তার হিসাব নেই। এটা চলবে না।”

আম-জনতার চিকিৎসার সুবিধার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে স্বাস্থ্যসাথী পরিষেবা চালু করেছেন। এক কার্ডেই মুশকিল আসান! কিন্তু বহু বেসরকারি হাসপাতাল, নার্সিংহোমে সেই কার্ড না নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। কিছুদিন আগেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড প্রত্যাখ্যান করলে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে সরাসরি সরকারে অভিযোগ জানাতে হেল্পলাইনের বন্দোবস্ত করেছে নবান্ন। নবান্নের তরফে প্রকাশ করা হয়েছে পাঁচটি ফোন নম্বর। তার মধ্যে একটি টোল ফ্রি নম্বর। এছাড়া চারটি নম্বরে স্বাস্থ্যসাথী ফেরানোর অভিযোগ জানাতে পারবেন রোগী ও তাঁর পরিবার।

নবান্নের তরফে মোট ৪টি ফোন নম্বর ও একটি টোল ফ্রি নম্বর প্রকাশ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড যদি কোনও হাসপাতাল গ্রহণ করতে অসম্মত হয়, কার্ডের জন্য রোগী ফিরিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটে তবে ফোন করুন 1800-345-5384 টোল ফ্রি নম্বরে। অর্থাৎ, এই নম্বরটিতে ফোন করতে গেলে কোনও খরচ হবে না। এছাড়া রয়েছে চারটি মোবাইল নম্বর। সেখানেও হেল্প চাইতে পারেন স্বাস্থ্যসাথী বিষয়ক সমস্যার জন্য। এই নম্বরগুলি হল, 9073313211, 9513108383, 8334902900 এবং 9830164268।

আরও পড়ুন: Sanjukta Morcha: কলকাতা-হাওড়ায় একাই লড়বে আব্বাস সিদ্দিকির দল, মোর্চা কি তবে উবেই গেল?

Next Article