Humayun Kabir on Madrasa: ‘CPM আমলেও হয়নি, আমাদের সময়ও হল না’, মাদ্রাসা নিয়ে মনের কথা বললেন হুমায়ুন

সৌরভ গুহ | Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Dec 21, 2024 | 11:09 PM

Humayun Kabir on Madrasa: অনুমোদনহীন মাদ্রাসাগুলি স্বীকৃতি পেলে অনেক সুবিধা হত জানিয়ে হুমায়ুন কবীর বলেন, "পড়ুয়ারা মিড ডে মিলের সুবিধা পেত। কিংবা কোনও আর্থিক সুবিধা পেত। কিন্তু, দুর্ভাগ্য হলেও সত্যি, সিপিএমের আমলেও স্বীকৃতি পায়নি। আমাদের বর্তমান সরকারের আমলেও অনেক তথ্য নেওয়া হয়েছে। কিন্তু, এখনও অনুমোদন পায়নি।"

Humayun Kabir on Madrasa: CPM আমলেও হয়নি, আমাদের সময়ও হল না, মাদ্রাসা নিয়ে মনের কথা বললেন হুমায়ুন
হুমায়ুন কবীর
Image Credit source: TV 9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থেকে জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত সন্দেহে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মধ্যে ধৃত আব্বাস আলির নিজের মাদ্রাসা রয়েছে। এরপরই মাদ্রাসায় বিভিন্ন কার্যকলাপ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এবার মাদ্রায় শিক্ষা নিয়ে মুখ খুললেন মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। একইসঙ্গে জানালেন, সিপিএমের আমলের মতো তৃণমূলের সময়েও অনেক মাদ্রাসা স্বীকৃতি পায়নি।

হুমায়ুন কবীরের নিজের একটি মাদ্রাসা রয়েছে। মাদ্রাসায় শিক্ষা নিয়ে তিনি বলেন, “কাউকে জঙ্গি তৈরি করার জন্য মাদ্রাসা নয়। দরিদ্র, অনাথ শিশুদের পড়াশোনার জন্য মাদ্রাসা।” মাদ্রাসায় হিন্দু শিক্ষক থাকার কথা তুলে ধরে তাঁর বক্তব্য, সংখ্যালঘু দফতরের তরফে কিছু হাই মাদ্রাসা রয়েছে। সেখানে হিন্দু পড়ুয়াও পড়ে। হিন্দু শিক্ষকও রয়েছেন।

তবে এরাজ্যে অনুমোদনহীন মাদ্রাসার সংখ্যা যে কয়েক হাজার তা স্বীকার করে নিলেন ভরতপুরের বিধায়ক। তিনি বলেন, ২০১১ সালে এ রাজ্যে প্রায় ১০ হাজার অনুমোদনহীন মাদ্রাসা ছিল। সেই সংখ্যা এখন আরও বেড়েছে। সেই মাদ্রাসাগুলি স্থানীয় বিভিন্ন কমিটি পরিচালনা করে।

এই খবরটিও পড়ুন

অনুমোদনহীন মাদ্রাসাগুলি স্বীকৃতি পেলে অনেক সুবিধা হত জানিয়ে তিনি বলেন, “পড়ুয়ারা মিড ডে মিলের সুবিধা পেত। কিংবা কোনও আর্থিক সুবিধা পেত। কিন্তু, দুর্ভাগ্য হলেও সত্যি, সিপিএমের আমলেও স্বীকৃতি পায়নি। আমাদের বর্তমান সরকারের আমলেও অনেক তথ্য নেওয়া হয়েছে। কিন্তু, এখনও অনুমোদন পায়নি।”

এরপরই জঙ্গি কার্যকলাপে মাদ্রাসার নাম জড়িয়ে যাওয়া নিয়ে ভরতপুরের বিধায়ক বলেন, “মাদ্রাসায় জঙ্গি হয় না। চালে যেমন কাঁকর থাকে, তেমনই কেউ হয়তো অসৎ উদ্দেশ্য ঢুকে পড়তে পারে। এক কোটির মধ্যে হয়তো একজন। তাদের জন্য আইন আছে।” কাউকে নিয়োগ করার আগে মাদ্রাসা কমিটিগুলির খতিয়ে দেখা দরকার বলে তিনি মন্তব্য করেন।

 

Next Article