কলকাতা: কোভিডের (COVID-19) তৃতীয় ঢেউ ঠেকাতে তৎপরতা। এই ঢেউ থেকে শিশুদের যাতে রক্ষা করা যায় তার জন্য ইতিমধ্যেই পরিকাঠামো, প্রশিক্ষণ এবং সচেতনতা প্রচারের উপরে জোর দিচ্ছে স্বাস্থ্য ভবন।
স্বাস্থ্য দফতরের বিশেষজ্ঞ কমিটির পরামর্শ মেনে ইতিমধ্যেই পরিকাঠামোগত বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সোমবার স্বাস্থ্যভবনের যে নির্দেশনামা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, ৯০ দিন থেকে ১২ বছর বয়সী মৃদু এবং মাঝারি উপসর্গযুক্ত করোনা আক্রান্তকে মহিলা ওয়ার্ডে মায়েদের সঙ্গে রাখা হবে। এর জন্য ১০ হাজার শয্যার পরিকাঠামো গড়া হচ্ছে। অন্যদিকে ১ দিন থেকে ৯০ দিন বয়সী সদ্যোজাতদের চিকিৎসায় এসএনসিইউয়ের ২০ শতাংশ শয্যা করোনা বেড হিসাবে চিহ্নিত করা হবে। এর জন্য প্রাথমিক ভাবে ৩৫০ এসএনসিইউ শয্যা থাকছে। এ ছাড়াও তৃতীয় ঢেউয়ে পেডিয়েট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট বা পিকু শয্যা থাকছে ১৩০০টি। রাখা হচ্ছে টেলি কনসালটেশনের ব্যবস্থাও।
আরও পড়ুন: তমলুক থেকে বন্দুক, গুলি-সহ গ্রেফতার ‘শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠ’ আরমান ভোলা
কী এই পিকু? যেমন সাধারণ ও প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য রয়েছে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট, তেমনি কেবলমাত্র শিশুদের একটি অত্যাধুনিক ইউনিট হল পিকু। যেখানে যাবতীয় উন্নত মানের চিকিৎসা সরঞ্জাম থাকবে বাচ্চাদের চিকিৎসার জন্য। করোনার তৃতীয় ঢেউ সামলাতে এই চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর জোর দিতে চাইছে স্বাস্থ্য দফতর। সাসেপ্টিবল ইনফেক্টেড রিকভার্ড বা এসআইআর মডেল তৃতীয় ঢেউয়ের কথা বলছে। এসআইআর অনুযায়ী, অগাস্টে তৃতীয় ঢেউ আসবে। অক্টোবরে তা স্তিমিত হবে। সেপ্টেম্বরে এর প্রভাব সবথেকে বেশি লক্ষ্য করা যাবে। প্রথম দুই ঢেউয়ে ০.৩ শতাংশ শিশু সংক্রমিত হয়েছে। তৃতীয় ঢেউয়ে সে চিত্রটায় উদ্বেগ বাড়বে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।