কলকাতা: একশোদিন, আবাসের টাকা নিয়ে বারবারই কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে সরব হতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল নেতাদের। দিল্লির বুকেও চলেছে ঘাসফুলের আন্দোলন। যদিও কয়েকদিন আগেই কলকাতায় তাঁর পাল্টা দিয়ে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। সাফ বলেছেন, মোদীদি কোটি কোটি টাকা বাংলায় পাঠালেও তৃণমূল নেতাদের কারণেই তা যোগ প্রাপক, গরিব মানুষদের কাছে যাচ্ছে না। সরব হয়েছেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ নিয়েও। এরইমধ্যে আবার শনিবার খেজুরিতে সভা ছিল বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। সেখানে শুভেন্দুর মুখে বকেয়া প্রসঙ্গ উঠতেই ফের একবার বিজেপিকে চেপে ধরতে দেখা গেল কুণাল-শশীদের। শুভেন্দু অধিকারী দোষ স্বীকার করেছেন, মেনে নিয়েছেন যে কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার প্রাপ্য টাকা আটকে রেখেছে! কার্যত যেন এই ভাষাতেই খোঁচা দিতে তেড়েফুঁড়ে মাঠে নেমে পড়লেন তাঁরা।
তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ কড়া আক্রমণ শানিয়ে বলছেন, খেজুরিতে বিজেপির একটি জনসভায় তাঁর করা মন্তব্য প্রমাণ করে, নিজেদের রাজ্যে নির্বাচন জেতা নিয়েই বিজেপি উদ্বিগ্ন হয়ে আছে।
অন্যদিকে তৃণমূল নেত্রী ডাঃ শশী পাঁজা বলেছেন, “খেজুরিতে, শুভেন্দু অধিকারী প্রকাশ্যে বলেছেন MGNREGA-এর অধীনে যাঁদের মজুরি বাকি ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন। এটা প্রমাণ করে যে তিনি স্বীকার করছেন বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার রাজনৈতিক কারণে বাংলাকে তার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। আমরা এই মনোভাবের নিন্দা জানাই।” আগামীতে এই ইস্যুতে আন্দোলন চলবে বলেও জানান তিনি। এখন লোকসভা নির্বাচনের আগে বঞ্চনা ইস্যুতে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণের জল এখন কতদূর গিয়ে দাঁড়ায়।