কলকাতা: স্পিকারের সঙ্গে অসম্মানজনক আচরণের অভিযোগ শীতকালীন অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড হয়ে গিয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যা নিয়ে বিতর্কও চলছে। খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বাংলায় এসে শুভেন্দুর হয়ে ব্যাট ধরেছেন। তোপ দেগেছেন তৃণমূল নেতাদের। এরইমধ্যে এবার কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মানানের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে শুরু হয়ে রাজনৈতিক তরজা। বিধানসভার স্পিকারদের উদ্দেশ্য করে দেওয়া ফেসবুক পোস্টের শিরোনামে লিখেছেন, “মাননীয় অধ্যক্ষগন এত বিতর্কিত কেন? আজকাল শুনি স্পিকারের আচরণ তেমন নয়। বিরোধীদের তিনি ভিন্ন চোখে দেখেন। পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেসি স্পিকাররা তার ব্যতিক্রম ছিলেন।”
এরপরই তিনি টেনে আনেন শৈলকুমার মুখোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ। লেখেন, তাঁর আমলে বামপন্থীরা, বিশেষ করে সিপিআই বিধানসভার মধ্যে কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে নানা অকথা কুকথা বলত। এই হচ্ছে কংগ্রেস। এই রকম ছিলেন কংগ্রেসের স্পিকার। এরপর তিনি আনেন হাসিম আবদুল হালিমের কথাও। লেখেন, সিপিএমের স্পিকার হাসিম আবদুব হালিম সীমাবদ্ধ সুযোগের মধ্যেও বিরোধীদের প্রতি উদারতা দেখাতেন।
এই ইস্যুতে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলছেন, বিধানসভায় এর আগে উনি প্রতিবাদ করেছিলেন বলে ওনার উপর ধাক্কা মারা হয়েছিল। ওনাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল। সেই স্মৃতি হয়তো উনি ভোলেননি। দিলীপের দাবি, যারা স্বৈরাচারের কথা বলে তারাই স্বৈরাচারী মানসিকতা দেখাচ্ছে বিধানসভায়। বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা হচ্ছে। এর আগেও হয়েছিল। তখন সিপিএম কংগ্রেস ছিল। এখন বিজেপি আছে।
অন্যদিকে বিধানসভায় বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। ১১ বিজেপি বিধায়কের নামে দায়ের হয়েছে অভিযোগ। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে জোর চাপানউতোর। এদিন এই ইস্যুতেও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ান মেদিনীপুরের সাংসদ। বলেন, বিধানসভার স্পিকারের কি ক্ষমতা নেই জাতীয় সংগীতের অবমাননা হলে পদক্ষেপ করার? কেন করছেন না? পুলিশ ডাকা হচ্ছে কেনও? অন্য সময় তো আমাদের বিধায়কের পটাপট সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়। দিলীপের দাবি এখন সেটা করার সাহস নেই, তাই অন্যভাবে বিজেপি বিধায়কদের বিরক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।