কলকাতা: ঘূর্ণিঝড়ের বাঁকেই বাংলার চাষিদের সামনে বিপদ! বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত অতি গভীর নিম্নচাপ। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস বলছে অন্ধ্রে ল্যান্ডফলের পরই বাঁক নেবে ঘূর্ণিঝড়। ৬ ও ৭ ডিসেম্বর দক্ষিণবঙ্গের ১০ জেলায় থাকছে বৃষ্টির পূর্বাভাস। মেঘ-বৃষ্টিতে রাজ্য জুড়েই ঠান্ডার দফারফা। অর্থাৎ, মোখা, হামুন, মিধিলির পর ফের আরও এক ঘূর্ণিঝড়ের আত্মপ্রকাশ হচ্ছে বঙ্গোপসাগরে। এ বার জন্ম নিল ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস বলছে রবিবার সকালেই অতি গভীর নিম্নচাপটি শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম ৫ ডিসেম্বর অন্ধ্র উপকূলে আছড়ে পড়বে। কিন্তু তারপর বাঁক নিয়ে ওড়িশা উপকূলের দিকে এগিয়ে আসতে পারে। ফলে ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে বাংলার দূরত্ব কমবে। তাই ৬ ও ৭ ডিসেম্বর দক্ষিণবঙ্গের ১০ জেলায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে বলে জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকছে কলকাতা, উত্তর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া ও পূর্ব বর্ধমানে। এই পূর্বাভাসেই চাষিদের মাথায় হাত। পাকা ধান নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দানা বাঁধছে মনে। এখন মাটি ভিজলে পিছিয়ে যেতে পারে আলুচাষও। আপাতত ঠান্ডার বালাই নেই। তাতেই আলু চাষেও ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। মৌসম ভবন বলছে, আগামী কয়েকদিন স্বাভাবিকের উপরেই থাকবে তাপমাত্রা। ৯ ডিসেম্বর থেকে আকাশ পরিষ্কার হয়ে তাপমাত্রা কমার আশা করা হচ্ছে। তবে এখন নজর মিগজাউমের সামগ্রিক গতিবিধির উপরেই।