কলকাতা: সন্ধ্যায় ধরে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ, রাতে লালবাজার ছাড়া পেতেই ফের ধর্মতলায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে আন্দোলনে বসে গিয়েছিলেন ওরা। কিন্তু, মধ্যরাতে আচমকা আন্দোলন মঞ্চে হানা দেয় পুলিশ। তুলে দেওয়া হয় ২০০৯ সালের দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রাইমারির চাকরিপ্রার্থীদের। মাঝরাতেই ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় পুলিশের সঙ্গে। ফের তুলে নিয়ে যাওয়া হয় আন্দোলন মঞ্চে থাকা পুরুষদের। তবে তারপরেও নিজেদের অবস্থানে অনড় মহিলা চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের মুখে একটাই কথা, কোনও সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা না করলে তাঁরা আন্দোলনের রাস্তা থেকে সরছেন না। তাঁদের প্রশ্ন, কেন ১৪ বছর কেটে গেলেও সামনে আসছে না প্যানেল?
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রাইমারির চাকরিপ্রার্থীরা শনিবার দুপুর থেকে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে একজোট হতে শুরু করেন। কিন্তু, অনুমতি না থাকায় পুলিশ তাঁদের উঠে যেতে বলে। রাতে আন্দোলনকারীদের মধ্যে পুরুষ চাকরিরপ্রার্থীদের গ্রেফতার করে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। মহিলা চাকরিপ্রার্থীরা সারারাতই খোলা আকাশের নিচে তাদের চাকরির দাবিতে অনড়। বাড়ছে ক্ষোভ।
এদিন সকালে সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, “আমরা সারারাত এখানে ছিলাম। এখনও আছি। ১৪ বছর ধরে আমরা বঞ্চিত। শুধু কোর্টের বাহানা দেওয়া হচ্ছে। কোনও প্যানেল দেওয়া হচ্ছে না। সরকারি কোনও আধিকারিদের সঙ্গে আমরা দেখা করতে চেয়েছিলাম। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, বা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করানোর কথা বলেছিলাম। কিন্তু, কোনও সহযোগিতা করা হচ্ছে না।”
এখানে না থেমে পুলিশের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তিনি আরও বলেন, “গতকাল সন্ধ্য়াবেলাও আমাদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে ছেড়ে দিলে ফের আমরা আন্দোলন শুরু করি। রাতে এসে আমাদের পুলিশ বলে অনুমতি ছাড়া এখানে বসতে দেওয়া হবে না। আমাদের পুরুষ সঙ্গীদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। আমরা এখানেই থাকব। যতক্ষণ না আমাদের কোনও সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করানো হচ্ছে ততক্ষণ আমরা এখানেই থাকব।”