কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) তদন্তে আরও গতি আনছে ইডি (ED)। শুক্রবার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা আধিকারিকদের তলবে সিজিও-তে হাজিরা দিলেন বিষ্ণপুর থানার সিভিক ভলান্টিয়র রাহুল বেরা। কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয় ভদ্র ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত এই সিভিক ভলান্টিয়র। সূত্রের খবর, এ দিন দু’জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করে পারেন গোয়েন্দা আধিকারিকরা।
এই নিয়ে তৃতীয়বার ইডি দফতরে হাজিরা দিলেন রাহুল বেরা। এর আগে তাঁর বাড়িতেও তল্লাশি চলে। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে রাহুল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। আদালতে ইডি জানিয়েছে, এই সিভিক ভলান্টিয়রের মাধ্যমে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র নিয়োগ দুর্নীতির একাধিক নথি লোপাটের চেষ্টা করেছেন।
এর আগে গোয়েন্দারা রাহুলের বয়ান রেকর্ড করেছিলেন। সুজয়কৃষ্ণরও বয়ান রেকর্ড করা হয়েছিল। ইডি সূত্রে খবর, এই দুই বয়ানে বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে। সেই কারণেই আজ দু’জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। কেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র নথি লোপাট করতে বলেছিলেন, রাহুলকেই বা কী নির্দেশ দিয়েছিলেন, ওই নথিতে কী ছিল সেই সমস্ত কিছুই এ দিন খতিয়ে দেখা হবে।
এ দিকে, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদ করে ইতিপূর্বে বেশ কয়েকটি কোম্পানির নাম জানতে পেরেছিলেন ইডি আধিকারিকরা। জিজ্ঞাসাবাদে নতুন আরও তিনটি কোম্পানির নাম জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা সূত্র মারফত এমনই খবর। এখনও পর্যন্ত পাওয়া সংস্থাগুলির মাধ্যমে প্রায় ২০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিল বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।
এই বিপুল অংকের টাকা কোথা থেকে এসেছিল, কী কারণে লেনদেন হয়েছিল তা খতিয়ে দেখছেন ইডির আধিকারিকরা। তদন্তকারীদের অনুমান নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকা এই সমস্ত কোম্পানির মাধ্যমে সাদা করার চেষ্টা করা হয়েছে।