কলকাতা: নবান্নে বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার দুদিনের মাথায় জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনা মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী। মমতা আসতে আসতেই একেবারে হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায় স্বাস্থ্য ভবনের সামনে। বেশ কিছুক্ষণ মাইক হাতে কিছু বলার চেষ্টা করলেও চেঁচামেঁচির মধ্যে বেশ খানিকটা বেগ পেতে হয় মমতাকে। যদিও তারমধ্যেই একেবার পর এক পর পদক্ষেপের কথা বলেন মমতা। স্পষ্ট জানিয়ে দেন সব হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে ফেলা হচ্ছে। রোগী কল্যাণ সমিতি ভাঙছে আরজি করেও। আরও একবার বললেন, “যদি সত্যি কেউ দোষী হয় তাহলে দোষীরা শাস্তি পাবে। দোষীরা কেউ আমার বন্ধু নয়, কেউ আমার শত্রু নয়। আপনারা যাঁরা ভাবছেন কেউ আমার বন্ধু আমি তাঁদের চিনিই না। আমি তাঁদের জানি না। আমাদের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। তাঁরা এসেছেন প্রসেসের মাধ্যমে। এই প্রসেস ফাইনাল হয়ে আমার কাছে আসে। মাত্র ১ মাসের মধ্যে যাঁরা এসেছেন তাঁদের মধ্যে কেউ খুন, দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলে আমি নিশ্চয় সাধ্যমতো চেষ্টা করব কথা বলে অ্য়াকশন নেওয়ার।”
এখানেই না থেমে মমতা আরও বলেন, “আমার পোস্ট বড় কথা নয়। মানুষের পোস্ট বড় কথা। আমি চাই তিলোত্তমার বিচার হোক। তিন মাসের মধ্যে যেন ফাঁসির অর্ডার দেওয়া হয়।” প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাবেলা ৫ দফা দাবি নিয়ে নবান্নে মমতার সঙ্গে বৈঠকে করতে যান জুনিয়র ডাক্তারেরা। কিন্তু, লাইভ স্ট্রিমিংয়ে নারাজ ছিল নবান্ন। অন্যদিকে নো লাইভ, নো ডিসকাশনে অনড় থাকেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। শেষ পর্যন্ত ভেস্তে যায় বৈঠক। এরপরই সাংবাদিক বৈঠকে ক্ষোভও উগরে দিয়েছিলেন তিনি। সাফ বলেছিলেন, ওরা বিচার চায় না, চেয়ার চায়। যা নিয়েও বিস্তর বিতর্ক হয়েছিল।
যদিও এদিন ধরনা মঞ্চে একেবারে অন্য মুডে দেখা গেল মমতাকে। বললেন, “আজ ৩৩-৩৪ দিন আমি কিন্তু রাতের পর রাত ঘুমাইনি। কারণ আপনারা যখন রাস্তায় থাকেন তখন আমাকেও পাহারাদার হিসাবে জেগে থাকতে হয়। আপনারা যদি কাজে ফিরতে চান তাহলে আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি আপানাদের দাবিগুলি সহানুভূতির সঙ্গে দেখব।” এখানেই না থেমে তিনি আরও বলেন, “আমি একা সরকার চালাই না। আমার সঙ্গে মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, ডিজি, পুলিশ আছে। আপনাদের দাবি নিয়ে আমি ভাবব। যদি কেউ দোষী হয় নিশ্চয় শাস্তি পাবে। আপনারা প্লিজ দয়া করে কাজে যোগদান করুন। আমি আপনাদের প্রতি কোনও অবিচার করব না।”