Subrata Mukherjee: বজবজ থেকে বালিগঞ্জ! অর্ধ শতকের সুব্রতকথা

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Nov 05, 2021 | 11:00 AM

কলেজ রাজনীতি দিয়ে শুরু। মন্ত্রী হিসেবেই জীবনের পথ চলা শেষ করলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়।

Subrata Mukherjee: বজবজ থেকে বালিগঞ্জ! অর্ধ শতকের সুব্রতকথা

Follow Us

রাজ্যের মন্ত্রী ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। একসময় কলকাতার মহানাগরিক হিসেবেও দায়িত্ব সামলেছেন। তবু আর পাঁচজন রাজনীতিকের মধ্যে বরাবরই সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে আলাদাভাবে চিনে নেওয়া যেত তাঁর দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক জীবনের অভিজ্ঞতা দিয়ে। দল কিংবা রঙ নির্বিশেষে তাঁকে শ্রদ্ধা করতেন বহু মানুষ। এত দীর্ঘ পথ তিনি অতিক্রম করেছেন, যে সেখানে এসেছে অনেক রঙ। বাংলার রাজনীতিকদের মধ্যে অন্যতম অভিজ্ঞ হিসেবে বিবেচিত হতেন তিনি। তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে শুধু বাংলা নয়, দিল্লির রাজনীতিতেও পরিচিত ছিলেন তিনি। সেই নকশালের সময় থেকে শুরু রাজনৈতিক জীবন। তৃতীয়বারের তৃণমূল সরকারের মন্ত্রী হিসেবেই শেষ করলেন সেই পথ চলা।

১৯৪৬-এ জন্ম সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের। একসময় সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা ছিল তাঁর। কিন্তু কলকাতায় কলেজে পড়ার সময় থেকেই রাজনীতি প্রবেশ করল তাঁর শিরায় শিরায়।

কলেজ থেকে রাজনীতিতে পা:

বঙ্গবাসী কলেজ থেকে রাজনীতিতে পথ চলা শুরু সুব্রতর। ৬০-এর দশকের শেষের দিকে সেই রাজনীতিতে পা রাখেন তিনি। পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা কংগ্রেসের আর এক মহীরূহ প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সির সঙ্গে। সেই সময় দিকে দিকে নকশাল আন্দোলনে যুক্ত হচ্ছেন অনেকে। আর সুব্রত কংগ্রেসের পতাকার তলে শুরু করলেন রাজনীতি। শুধু প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সির সঙ্গে জুটিই নয়, ইন্দিরা গান্ধীর প্রিয়পাত্র হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি।

1971-

সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বয়স তখন মাত্র ২৫ বছর। বালিগঞ্জ থেকে প্রথমবার ভোটে দাঁড়িয়ে ছিলেন সে বার। ওই সময়েই কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন ছাত্র পরিষদের সভাপতিও ছিলেন সুব্রত। ১৯৭১-এ বালিগঞ্জ থেকে প্রথমবার ভোটে দাঁড়িয়ে জয়ী হন তিনি।

1972-

ফের বালিগঞ্জ থেকে ভোটে লড়লেন সুব্রত। সেবারও জয়ী হন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ের মন্ত্রিসভার সদস্য হন সুব্রত। তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের প্রতিমন্ত্রী হন তিনি। সবথেকে কম বয়সে মন্ত্রী হওয়ার সেই রেকর্ডের অধিকারী ছিলেন সুব্রত।

1977-

ভোটে হেরে যান সুব্রত। সে বার কংগ্রেসের পরাজয় হয়েছিল।

1982-

বিধানসভা ভোটে কেন্দ্র বদল করেন সুব্রত। চলে যান উত্তর কলকাতার জোড়াবাগানে। সেখান থেকে ভোটে লড়েন। পরপর তিনবার ওই কেন্দ্র থেকেই জয়ী হন তিনি। ১৯৯৬ সালে ভোটে দাঁড়ান চৌরঙ্গি থেকে। সেখানেও জয়ী হন।

1999-

কংগ্রেস ছেড়ে দিলেন সুব্রত। যোগ দিলেন তৃণমূলে।

2000-

কলকাতার পুরভোটে ৮৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে লড়লেন সুব্রত। জয়ী হয়ে কলকাতার মেয়র হলেন।

2005-

সালে তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে তৈরি হয় বিরোধ। তৃণমূল ছেড়ে পৃথক মঞ্চ গড়েন তিনি। ‘ঘড়ি’ চিহ্নে লড়াই করেন কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে। পুরভোটে জিতে যান তিনি। কিন্তু তাঁর মঞ্চ হেরে যায়।

2006

সালে চৌরঙ্গি থেকে কংগ্রেসের হয়ে প্রার্থী হন সুব্রত। কিন্তু হেরে যান।

2008

তখনও কংগ্রেসে সুব্রত। কিন্তু সিঙ্গুরে মমতার ধর্নামঞ্চে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।

2009

কংগ্রেস-তৃণমূল জোটের প্রার্থী হয়ে কংগ্রেসের প্রতীকে বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হন। কিন্তু হেরে যান সিপিএমের বাসুদেব আচারিয়ার কাছে।

2010-

ফের তৃণমূলে ফিরলেন সুব্রত।

2011

সালে তৃণমূলের প্রতীকেই বালিগঞ্জ থেকে বিধায়ক পজের জন্য লড়াই। জয়ী হন তিনি মমতার সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভায় মন্ত্রী হন তিনি।

2016, 2021

বালিগঞ্জ কেন্দ্র থেকেই জিতেছেন তিনি। পঞ্চায়েত মন্ত্রী হিসেবেই দায়িত্বে ছিলেন জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত।

Next Article