Classical Bengali language: ‘ক্ল্যাসিক্যাল’ তকমা বাংলা ভাষার, এবার কোন কোন বাড়তি সুবিধা মিলতে পারে

Jyotirmoy Karmokar | Edited By: জয়দীপ দাস

Oct 03, 2024 | 9:39 PM

Classical Bengali language: প্রসঙ্গত, ধ্রুপদী ভাষার বিস্তারের জন্য কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রককে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে একাধিক দায়িত্বভার দেওয়া হয়েছে। ২০২০ সালে কেন্দ্রীয় আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সংস্কৃতের জন্য তিনটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় গঠন করা হয়েছে।

Classical Bengali language: ‘ক্ল্যাসিক্যাল’ তকমা বাংলা ভাষার, এবার কোন কোন বাড়তি সুবিধা মিলতে পারে
বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার
Image Credit source: Getty Images

Follow Us

কলকাতা: পুজোর আগেই বাঙালিদের জন্য বড় উপহার মোদী সরকারের। বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার তকমা দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। সাহিত্য অ্যাকাডেমি নিয়ন্ত্রণাধীন Linguistics Experts Committee গত ২৫ জুলাইয়ের বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে বাংলা-সহ মোট পাঁচটি ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে বাংলাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছিল বাংলার সরকার। এবার ততেই সিলমোহর পড়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উচ্ছ্বসিত পোস্ট করতে দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও। কিন্তু ধ্রুপদী মর্যাদা পাওয়ার ফলে কোন কোন সুবিধা পেতে পারে বাংলা ভাষা? 

প্রসঙ্গত, ধ্রুপদী ভাষার বিস্তারের জন্য কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রককে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে একাধিক দায়িত্বভার দেওয়া হয়েছে। ২০২০ সালে কেন্দ্রীয় আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সংস্কৃতের জন্য তিনটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় গঠন করা হয়েছে। বাংলার ক্ষেত্রেও এধরনের পদক্ষেপের সুযোগ থাকবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। 

আগে প্রথম ধ্রুপদী ভাষা হিসেবে মর্যাদা পেয়েছিল তামিল। তামিল ভাষার গবেষণা এবং বিস্তারের জন্য Central institute of classical Tamil গঠন করা হয়েছিল। যার মাধ্যমে প্রাচীন তামিল সাহিত্যের অনুবাদ, গবেষণা এবং বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রছাত্রীদের জন্য কোর্ট তৈরি করা হয়েছিল। বাংলার ক্ষেত্রেও একই ধরনের পদক্ষেপ করা হতে পারে। 

ধ্রুপদী ভাষায় সাহিত্য রচনার জন্য আলাদা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরের পুরস্কার এবং ইউনিভার্সিটি চেয়ার এবং লেকচার দেওয়া হয়।  ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদার কারণে পেশাদারী ক্ষেত্রে বাংলার ব্যবহারিক প্রয়োগ আরও যে বাড়বে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এর ফলে কর্মসংস্থান এবং আর্থিক লাভের সম্ভাবনা হবে বলেও কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি।

Next Article