কলকাতা: খড়দহ (Khardah) উপনির্বাচন উপলক্ষে শনিবারের সভা থেকে বিজেপিকে একহাত নিয়ে অভিষেক (Abhishek Banerjee) দাবি করেছেন আগামীতে গোয়া সহ পাঁচ রাজ্যে তৃণমূল প্রবেশ করবে। এমনকি গোয়াতে তৃণমূলের সরকার গড়া স্রেফ সময়ের অপেক্ষা বলে দাবি করেন তিনি। এই সভার অব্যবহিত পরে তৃণমূলকে পাল্টা কটাক্ষ ছুড়ে দিল বিজেপি। ব্যঙ্গের সুরে বঙ্গ বিজেপির মুখ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, মমতার প্রতিভা ও মেধার প্রতি তৃণমূলই সুবিচার করেনি।
এদিন তৃণমূল সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আগামী তিন মাসের মধ্যে আরও পাঁচটা রাজ্যে ঢুকব। আমরা সেখানে ঢুকে তৃণমূলকে প্রতিষ্ঠা করব।” এই প্রেক্ষিতে শমীকবাবুর মন্তব্য, “এটা বাণিজ্যিক ভাষা। এটা রাজনীতির ভাষা নয়। বড় কোনও কোম্পানি এলে তারা বিভিন্ন শব্দবন্ধ তৈরি করে। এটা কোনও রাজনৈতিক ভাষা নয়।”
শনিবার অভিষেক খড়দহে বলেছেন, চার উপনির্বাচনে এত ভোটে জেতাতে হবে সেটা যেন দেশ টের পায়। তিনি স্লোগান তোলেন, ”দেশ কা নেত্রী ক্যায়সা হ্যায়, মমতা ব্য়ানার্জি জ্যায়সা হ্যায়।” এ নিয়ে বঙ্গ বিজেপির তরফে প্রতিক্রিয়া, “কেউ তাঁর দলের নেত্রী সম্পর্কে এমন বলতেই পারেন। এতে অবাস্তব কিছু নয়। যে দল তিনি করছেন তার নেত্রীকে দেশের সামনে দৃষ্টান্ত হিসাবে তুলে ধরা স্বাভাবিক। কিন্তু আপনি মোহনবাগানের সমর্থক হয়ে যদি বলেন, ভ্রাতৃ সঙ্ঘকে এত সংখ্যক গোল দিতে হবে যে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড ওটা দেখে ঘাবড়ে যাবে যে, আপনার সঙ্গে খেলতে নামব না। ব্যাপারটা তেমন হয়ে গেল।”
এদিকে অভিষেক দাবি করেছেন, জিএসটি নীতি, নোটবন্দির পর ভেঙে পড়া অর্থনীতির মধ্যে সফলভাবে কাজ করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রেক্ষিতেই শমীক ভট্টাচার্যের কটাক্ষ, “ওঁনার প্রতিভা, মেধার সঙ্গে সুবিচার করছে না তৃণমূল। এই মুহূর্তে অতিমারির কারণে সারা পৃথিবীর অর্থনীতি যেখানে পৌঁছেছে, তার উপর ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদের উত্থান, গ্লোবাল ওয়ার্মিং, মেঘ ভাঙা বৃষ্টি, বিভিন্ন জায়গায় ধস, সারা পৃথিবীতে যা চলছে, দেশের সীমানা, কালখণ্ডে আবদ্ধ রেখে মাননীয় মমতা বন্দ্যোপাদ্যায়ের মেধাকে, যোগ্যতাকে ছোট করার অপচেষ্টা চলেছে তৃণমূল কংগ্রেসে।” তিনি আরও যোগ করেন, প্রধানমন্ত্রীর আসনও যথেষ্ট নয়।
অভিষেক খড়দহ থেকে মন্তব্য করেন দিনহাটা, শান্তিপুরে উপনির্বাচনের জন্য দায়ী বিজেপি। তিনি বলেন, ” দুই কেন্দ্রে উপনির্বাচনের প্রয়োজন ছিল না। কিন্তু ২ জন সাংসদ (বিজেপি) ভোটে দাঁড়ালেন। আবার মানুষের রায় প্রত্যাখ্যান করে মন্ত্রী হবে, সাংসদ থাকবে বলে ইস্তফা দিলেন! একদিকে দেখুন মানুষের জন্য কাজ করতে গিয়ে দু’জন প্রয়াত হলেন। এটাই তৃণমূল আর বিজেপির পার্থক্য।” এ নিয়ে শমীকের পাল্টা প্রতিক্রিয়া, “স্বার্থ? তাহলে ভবানীপুরের কেন অকাল নির্বাচন করতে হল? ভবানীপুরে তো প্রার্থীকে ২৭ হাজার ভোটে জিতিয়েছিলেন। সেখানে কার স্বার্থে ভোট হল?” এর পরেই মুখ্যমন্ত্রীর গোয়া সফর প্রসঙ্গে তাঁর সংযুক্তি, বিজেপি সেখানে কিন্তু মমতাকে বহিরাগত বলবেন না।
আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: নেত্রীর পায়ে ধরে বলেছি, গদ্দারদের দলে ঢোকানো যাবে না