কলকাতা: জানুয়ারি তৃণমূলের প্রতিষ্ঠার মাস। পাশাপাশি এ মাসের বিভিন্ন দিনে একাধিক অনুষ্ঠানও থাকে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত তা পালনের কর্মসূচি নেতা-কর্মীরা যাতে যথাযথ পালন করেন, তার জন্য তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে নির্দেশ দেওয়া হল। দলের লেটারহেডে সমস্ত জেলা, ব্লক, ওয়ার্ড এবং অঞ্চলের কর্মীদের এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেখানে ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত কোন কোন কর্মসূচি পালন করতে হবে, তার বিস্তারিত উল্লেখ রয়েছে। কীভাবে কর্মসূচি রূপায়ন হবে তারও উল্লেখ রয়েছে তৃণমূলের ওই নির্দেশিকায়। সেই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্পের প্রচার সাধারণ মানুষের মধ্যে করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ঘাসফুল শিবিরের তরফে।
১ জানুয়ারি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তেই পালিত হবে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবস। ১ থেকে ৭ জানুয়ারি অবধি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ‘মা-মাটি-মানুষ’-এর প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন এবং দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা দিবস পালনের নির্দেশ দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। এর পাশাপাশি সম্মানীয় ব্যক্তিবর্গকে সম্মানিত করা এবং গান্ধীজি, নেতাজি, বিবেকানন্দ, আম্বেদকরের মতো মনীষীদের প্রতিকৃতিতে মাল্যদানের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
১২ জানুয়ারি মর্যাদা সহকারে স্বামী বিবেকানন্দের জন্মজয়ন্তী পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যের সমস্ত ব্লক, ওয়ার্ড ও অঞ্চলে। অনুষ্ঠান বা মিছিলের মাধ্যমে এই কর্মসূচি পালনের নির্দেশ রয়েছে। স্বামী বিবেকানন্দের পাশাপাশি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মজয়ন্তীও পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তৃণমূলকর্মীদের। সমস্ত ব্লক ও ওয়ার্ডে ‘সুভাষ উৎসব’ পালনের কথা বলা হয়েছে তৃণমূলে নির্দেশিকায়। ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস কীভাবে উদযাপন করা হবে তার পুঙ্খানুপুঙ্খ নির্দেশ রয়েছে। প্রজাতন্ত্র দিবসে দেশ এবং দলের পতাকা উত্তোলনের পাশাপাশি ভারতীয় সংবিধানের গুরুত্ব রাজ্যবাসীকে বোঝানোর কথা বলা হয়েছে নির্দেশিকায়। কেন সংবিধানকে রক্ষা করা প্রয়োজন তাও জানাতে বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি মানুষ এবং হাসপাতালের রোগীদের মধ্যে ফল ও বস্ত্র বিতরণের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।