‘মমতার প্রতি শ্রদ্ধা বেড়ে গেল’, প্রশংসা সুব্রতর, কুণাল বললেন, ‘কোনও ভুল করেননি নেত্রী’

ঋদ্ধীশ দত্ত |

Mar 27, 2021 | 6:43 PM

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই (Mamata Banerjee) ফোন করেছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের বিজেপি (BJP) জেলা সহ সভাপতি প্রলয় রায়কে। দ্বর্থ্যহীন ভাষাতেই এই সত্যতা 'কার্যত স্বীকার' করে নিল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)।

Follow Us

কলকাতা: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই (Mamata Banerjee) ফোন করেছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের বিজেপি (BJP) জেলা সহ সভাপতি প্রলয় রায়কে। দ্বর্থ্যহীন ভাষাতেই এই সত্যতা ‘কার্যত স্বীকার’ করে নিল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। তবে এতে অন্যায় বা মুখ লুকানোর মতো কিছু দেখছে না শাসকদল। বরং যে ভাবে একটি দলের সর্বময় নেত্রী হওয়ার সত্ত্বেও তিনি নিজের দলের প্রাক্তন কর্মীকে ফোন করেছেন এবং সৌজন্য দেখিয়েছেন, সেই বিষয়টি আসলে গর্বের। সংবাদ মাধ্যমের একাংশই পুরো প্রসঙ্গকে অন্যভাবে উপস্থাপন করছে। সাংবাদিক বৈঠক করে এ দিন এমনটাই দাবি করেছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়।

সুব্রত এ দিন বলেন, “আজ আমি টিভি থেকে দেখেছি। তা দেখার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর আমার শ্রদ্ধা আরও বেড়ে গিয়েছে। বিষয়টিকে যে ভাবে পরিবেশন করা হচ্ছে তার আঙ্গিক ভিন্ন। তবে এতে আমাদের কোনও ক্ষতি হয়নি। কিন্তু, এট রেকর্ড করে সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হবে, এটা কী ধরনের রাজনীতি! এমন দেখানোর চেষ্টা হচ্ছে যেন মমতা খুব দুর্বল হয়ে গিয়েছেন।”

সাংবাদিক বৈঠকে হাজির ছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষও। প্রাক্তন রাজ্যসভা সাংসদ কুণাল ঘোষ স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “যদি ওই টেপ সত্যি হয়ে থাকে, তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও বিজেপি নেতাকে ফোন করেননি। তিনি তৃণমূলের প্রাক্তন নেতাকে ফোন করেছিলেন। মমতা সরল বিশ্বাসে কথা বলেছেন। তাঁর সৌজন্যতাকে কেউ যেন দুর্বলতা মনে না করেন।”

একই সঙ্গে পালটা হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেন, “আর যদি টেপের লড়াই শুরু হয়, তাহলে ধাপে ধাপে হোক। বিজেপির কোন নেতা তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে দক্ষিণ কলকাতায় কোথায় মিটিং করেছেন সেই টেপও তাহলে প্রকাশ করি। শিশির বাজোরিয়া ও মুকুল রায় বুথে এজেন্ট দেওয়া নিয়ে কী কথা বলছেন সেই টেপ ও সামনে আসবে।”

আরও পড়ুন: রোহিঙ্গারা নাগরিকত্ব পেলেও আমি পাচ্ছি না, এটা লজ্জার: প্রলয়ের তোপ মমতাকে

প্রসঙ্গত, দিনকয়েক আগেই কমিশন একটি নতুন নিয়ম চালু করে এজেন্টদের নিয়ে। নতুন নিয়মে বলা হয়, যে কোনও বুথের যে কোনও দলের এজেন্ট গোট বিধানসভা কেন্দ্রের যে কোনও বুথে যেতে পারবেন। কমিশনের এই নিয়ম নিয়ে আপত্তি তুলেছে তৃণমূল। পাশাপাশি অন্যান্য দলগুলিকেও পাশে থাকার আবেদন জানানো হয়েছে। এই নিয়ে তৃণমূলের ৮ সাংসদ এ দিন কমিশনে একটি ডেপুটেশন জমা দেয়।

সেই প্রসঙ্গে সুব্রত বলেন, “বিজেপি সব বুথে এজেন্ট দিতে পারবে না কারণ কর্মী নেই। অন্য রাজ্য থেকে লোক নিয়ে এসে এজেন্ট হিসাবে বুথে বসাতে পারে, সেই কারণেই নির্বাচন কমিশনের তরফে তড়িৎ গতিতে সর্বদল বৈঠক না ডেকেই এই সিন্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” কমিশনের এই সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক বলে দাবি করেছে শাসকদল।

আরও পড়ুন: মমতার ‘ফোন’ বিজেপি নেতাকে, ‘আমাদের হয়ে একটু কাজ করে দাও না’!

 

কলকাতা: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই (Mamata Banerjee) ফোন করেছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের বিজেপি (BJP) জেলা সহ সভাপতি প্রলয় রায়কে। দ্বর্থ্যহীন ভাষাতেই এই সত্যতা ‘কার্যত স্বীকার’ করে নিল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। তবে এতে অন্যায় বা মুখ লুকানোর মতো কিছু দেখছে না শাসকদল। বরং যে ভাবে একটি দলের সর্বময় নেত্রী হওয়ার সত্ত্বেও তিনি নিজের দলের প্রাক্তন কর্মীকে ফোন করেছেন এবং সৌজন্য দেখিয়েছেন, সেই বিষয়টি আসলে গর্বের। সংবাদ মাধ্যমের একাংশই পুরো প্রসঙ্গকে অন্যভাবে উপস্থাপন করছে। সাংবাদিক বৈঠক করে এ দিন এমনটাই দাবি করেছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়।

সুব্রত এ দিন বলেন, “আজ আমি টিভি থেকে দেখেছি। তা দেখার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর আমার শ্রদ্ধা আরও বেড়ে গিয়েছে। বিষয়টিকে যে ভাবে পরিবেশন করা হচ্ছে তার আঙ্গিক ভিন্ন। তবে এতে আমাদের কোনও ক্ষতি হয়নি। কিন্তু, এট রেকর্ড করে সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হবে, এটা কী ধরনের রাজনীতি! এমন দেখানোর চেষ্টা হচ্ছে যেন মমতা খুব দুর্বল হয়ে গিয়েছেন।”

সাংবাদিক বৈঠকে হাজির ছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষও। প্রাক্তন রাজ্যসভা সাংসদ কুণাল ঘোষ স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “যদি ওই টেপ সত্যি হয়ে থাকে, তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও বিজেপি নেতাকে ফোন করেননি। তিনি তৃণমূলের প্রাক্তন নেতাকে ফোন করেছিলেন। মমতা সরল বিশ্বাসে কথা বলেছেন। তাঁর সৌজন্যতাকে কেউ যেন দুর্বলতা মনে না করেন।”

একই সঙ্গে পালটা হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেন, “আর যদি টেপের লড়াই শুরু হয়, তাহলে ধাপে ধাপে হোক। বিজেপির কোন নেতা তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে দক্ষিণ কলকাতায় কোথায় মিটিং করেছেন সেই টেপও তাহলে প্রকাশ করি। শিশির বাজোরিয়া ও মুকুল রায় বুথে এজেন্ট দেওয়া নিয়ে কী কথা বলছেন সেই টেপ ও সামনে আসবে।”

আরও পড়ুন: রোহিঙ্গারা নাগরিকত্ব পেলেও আমি পাচ্ছি না, এটা লজ্জার: প্রলয়ের তোপ মমতাকে

প্রসঙ্গত, দিনকয়েক আগেই কমিশন একটি নতুন নিয়ম চালু করে এজেন্টদের নিয়ে। নতুন নিয়মে বলা হয়, যে কোনও বুথের যে কোনও দলের এজেন্ট গোট বিধানসভা কেন্দ্রের যে কোনও বুথে যেতে পারবেন। কমিশনের এই নিয়ম নিয়ে আপত্তি তুলেছে তৃণমূল। পাশাপাশি অন্যান্য দলগুলিকেও পাশে থাকার আবেদন জানানো হয়েছে। এই নিয়ে তৃণমূলের ৮ সাংসদ এ দিন কমিশনে একটি ডেপুটেশন জমা দেয়।

সেই প্রসঙ্গে সুব্রত বলেন, “বিজেপি সব বুথে এজেন্ট দিতে পারবে না কারণ কর্মী নেই। অন্য রাজ্য থেকে লোক নিয়ে এসে এজেন্ট হিসাবে বুথে বসাতে পারে, সেই কারণেই নির্বাচন কমিশনের তরফে তড়িৎ গতিতে সর্বদল বৈঠক না ডেকেই এই সিন্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” কমিশনের এই সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক বলে দাবি করেছে শাসকদল।

আরও পড়ুন: মমতার ‘ফোন’ বিজেপি নেতাকে, ‘আমাদের হয়ে একটু কাজ করে দাও না’!

 

Next Article