কলকাতা: ঢাকে কাঠি পড়েছে পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023)। চলছে মনোনয়ন জমা। শুরুর দিন থেকেই রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে আসছে অশান্তির খবর। ডোমজুড়, খড়গ্রামে উত্তেজনা। কখনও আবার বিজেপি (BJP) বিধায়কের গাড়ি লক্ষ্য করে ঢিল ঢোড়ারও অভিযোগ। বিজেপি বিধায়ককে হেনস্থা, গাড়ি ভাঙারও চেষ্টার অভিযোগও সামনে এসেছে। মুর্শিদাবাদের সালারে, ভরতপুরে সংঘর্ষ। রানিনগরে সিপিএমকে মনোনয়নের ফর্মই তুলতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে একাধিক প্রান্ত থেকে লাগাতার অশান্তির খবর আসতেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। কেন এমন ঘটনা ঘটছে তা জানতে চেয়ে জেলা শাসকদের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এমতাবস্থায় এবার কড়া বার্তা তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
নদিয়ার কল্যাণীতে নবজোয়ার যাত্রার মাঝে গোটা রাজ্যের তৃণমূলকর্মীদের বার্তা দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দলের তরফ থেকে কড়া নির্দেশ, কেউ এই ধরনের ঝামেলায় জড়াবেন না৷ মনোনয়ন ঘিরে অশান্তিতে জড়াবেন না। প্রাশাসনকেও বলা হয়েছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে। কেউ মনোনয়ন জমা না দিতে পারলে দলকে জানান৷ তৃণমূল কংগ্রেস মনোনয়নের ব্যবস্থা করবে।” প্রসঙ্গত, মনোনয়ন নিয়ে অশান্তির আবহে শনিবারই আবার মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে রাজভবনে তলব করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এরইমধ্যে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে অভিষেকের এই বার্তা নিয়ে রাজ্য-রাজনীতির আঙিনায় শুরু হয়েছে নতুন তরজা।
বিরোধীদের একটা বড় অংশের অভিযোগ, অনেক জায়গাতেই মনোনয়ন দিতে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা। কোথাও কোথাও হামলারও অভিযোগও উঠেছে। ঝরেছে রক্ত। মুর্শিদাবাদে মৃত্যু হয়েছে কংগ্রেস কর্মীর। যা নিয়ে আবার রাজ্যপালকে চিঠি দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। এই প্রেক্ষাপটে অভিষেকের এই মন্তব্য বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণভাবেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। যদিও তৃণমূল মখপাত্র কুণাল ঘোষ বলছেন “আমরা চাইছি পুরোদস্তুর কনটেস্ট হোক। আর এরা যে এত মারামারি করছে এরা তো অর্ধেক জায়গায় প্রার্থী খুঁজে পাবে না। তৃণমূল সব জায়গাতেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে। ফলে দু-চারজন অন্য প্রতীকে জেতেন তাঁরা তো এটা অনুভব করবেন। বাইরনের অনুভূতি তো সংক্রমিত হবে। আর মানুষই কেন অন্য চিহ্নে ভোট দেবে? তৃণমূলে দিলে সরাসরি তৃণমূল জিতবে। অন্য চিহ্নে দিলে ভোটের পরে জয়ীরা তৃণমূলে আসবে। ফলে অন্য চিহ্নে দিয়ে কী লাভ?”