কলকাতা: সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের একটি টুইট গত কয়েকদিন ধরে জোর বিতর্ক ফেলে দিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। ‘মাফিয়া-সাংসদ’, ‘১৫ বিদেশি যৌনকর্মীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট’ নিয়ে লেখা সেই টুইটের জন্য এবার সেলিমকে আইনি নোটিস পাঠালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী সঞ্জয় বসু। আইনি নোটিসে অভিষেকের আইনজীবী লিখেছেন, সেলিম ওই টুইটের মাধ্যমে তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে মানহানিকর ও মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন।
যে টুইট ঘিরে এত বিতর্ক, সেখানে সরাসরি কারও নাম উল্লেখ না করেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক। সেলিম টুইটে লিখেছিলেন, ‘কয়লা কেলেঙ্কারি থেকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি-সহ একাধিক দুর্নীতিতে নাম জড়ানো এক মাফিয়া সাংসদ নিউইয়র্ক থেকে সেলফি শেয়ার করেছেন। বিজেপির মাথাদের সাহায্য নিয়ে তিনি দেশের বাইরে চলে গিয়েছেন। অভিযোগ, তিনি ভুল পথে আয় করা টাকা সরানোর জন্য ১৫ জন বিদেশি যৌনকর্মীর অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেছেন।’
কিন্তু সেই টুইটের সঙ্গে একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের লিঙ্ক পোস্ট করেন সেলিম। সেই খবরের লিঙ্কে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের একটি ছবি ছিল। ফলে সেলিমের ওই টুইটে ওই ‘মানহানিকর’ ও ‘অবমাননাকর’ মন্তব্যে সরাসরি তাঁর মক্কেলের দিকেই ইঙ্গিত করা হয়েছে বলে দাবি আইনজীবী সঞ্জয় বসুর। অভিষেকের আইনজীবীর দাবি, তাঁর মক্কেলের মানহানি করার জন্য জেনেবুঝে ওই টুইট করা হয়েছে। একইসঙ্গে সেলিম তাঁর টুইটে যে ‘১৫ যৌনকর্মী’ কথাটি ব্যবহার করেছেন, তাতেও আপত্তি রয়েছে সঞ্জয় বসুর। তাঁর বক্তব্য, এই ধরনের মন্তব্য কোনও প্রমাণ ছাড়া এই ধরনের ভুল তথ্য ছড়ানো গোটা নারী সমাজের জন্য অবমাননাকর। আইনি নোটিসে লেখা হয়েছে, এই ধরনের মন্তব্য এটাই প্রমাণ করে যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মহিলাদের ঠিকঠাক সম্মান দেন না।
সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমকে পাঠানো ওই চিঠিতে অভিষেকের আইনজীবী লিখেছেন, সেলিম যেন এই নোটিস পাওয়ার পর নিজের ওই টুইটটি মুছে ফেলেন এবং ক্ষমা চেয়ে নেন। টুইটে ও সংবাদমাধ্যমে দুই জায়গাতেই ক্ষমতা চাওয়ার শর্ত দেওয়া হয়েছে। নাহলে, সিপিএম নেতার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।