কলকাতা : চলছে রাজ্যের বিধানসভা অধিবেশন। সোমবার বিধানসভার জিরো আওয়ারে রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর সামনেই অভিযোগ উঠল কিছু নার্সিং হোমের বিরুদ্ধে। কান্দির তৃণমূল বিধায়ক অপূর্ব সরকার (ডেভিড) বহরমপুরের কিছু নার্সিং হোমের বিরুদ্ধে রোগী পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ তুললেন বিধানসভার অধিবেশন চলাকালীন। বিধায়কের অভিযোগ, স্বাস্থ্য সাথী কার্ড গ্রহণ করার ক্ষেত্রে বহরমপুর এলাকার কিছু নার্সিংহোম রোগীর পরিবারকে হয়রান করছে।
বহরমপুরের নার্সিং হোমগুলির বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে হেনস্থা করার অভিযোগ তুলে তৃণমূল বিধায়ক অপূর্ব সরকার সোমবার বিধানসভায় অভিযোগ করেন, যা প্যাকেজ নিয়ে ভর্তি করার কথা বলা হচ্ছে, তার থেকে অনেক বেশি বিল করছে নার্সিং হোমগুলি। এমনকী স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের ফর্মালিটি পূরণ করতে দুই তিন দিন লাগিয়ে দিচ্ছে। ফলে, ওই সময়ের জন্য ক্যাশ পেমেন্ট করার জন্য এক প্রকার বাধ্য করা হচ্ছে সাধারণ মানুষদের। বিধায়কের বক্তব্য, এর আগেও অনেক জায়গায় অভিযোগ জানানো হয়েছিল। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি বলেই অভিযোগ তাঁর। সোমবার যখন তিনি এই অভিযোগগুলি করছিলেন, তখন বিধানসভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
মন্ত্রীকে সামনে পেয়ে তাই বহরমপুরের নার্সিং হোমগুলিতে এ হেন ‘জুলুমের’ অভিযোগের কথা আরও একবার তুলে ধরেন শাসক দলের বিধায়ক। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য যাতে বিষয়টি নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেন, সেই আর্জি জানিয়েছেন কান্দির তৃণমূল বিধায়ক অপূর্ব সরকার।
উল্লেখ্য, এর আগেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন। গতমাসেই মুখ্যমন্ত্রী সতর্ক করে দিয়েছিলেন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ফেরালে এফআইআর করা হবে। রাজ্যবাসীর উদ্দেশে মমতা বলেছিলেন, কোনও নার্সিং হোম রোগীকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের আওতায় চিকিৎসা করাতে না চাইলে থানায় এফআইআর করার জন্য। এর পাশাপাশি স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে যে হেল্পলাইন নম্বর রয়েছে, সেখানেও ফোন করে অভিযোগ জানানোর কথা বলেছিলেন তিনি। তবে মুখ্যমন্ত্রীর সেই সতর্কবার্তার পরেও বহরমপুরের কিছু নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে খোদ তৃণমূল বিধায়কের এমন অভিযোগ স্বাভাবিকভাবেই যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।