কলকাতা: ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক শওকত মোল্লার নিরাপত্তা বাড়িয়ে দিল রাজ্য সরকার। তাঁকে জেড ক্যাটিগরির নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। শওকত নিজেই জানিয়েছেন এই কথা। বর্তমানে ওয়াই প্লাস ক্যাটিগরির নিরাপত্তা পান তিনি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন ঘিরে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে ভাঙড়। ক্যানিংয়েও কিছু কিছু এলাকা থেকে বিস্তর অশান্তির অভিযোগ উঠেছিল। এই সব ঘটনায় শওকত মোল্লার দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিল বিরোধীরা। কিন্তু সেই শওকতের নিরাপত্তা বেড়ে গেল। এ বিষয়ে শওকত জানিয়েছেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিশ্চয় কিছু বুঝেছেন। তাই তাঁর নিরাপত্তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন শওকত। যদিও এ নিয়ে এখনও কোনও সরকারি নির্দেশিকা আসেনি।
ভাঙড়ে অশান্তির জন্য আইএসএফ-কে কাঠগড়ায় তুলেছেন শওকত মোল্লা। তিনি বলেছেন, “অনেক সমাজবিরোধীকে রাতের অন্ধকারে ভাঙড়ের বিভিন্ন জায়গায় ঢোকানো হয়েছিল। আমাদের রাজু নস্করকে যে ভাবে আইএসএফের সমাজবিরোধীরা নৃশংস ভাবে খুন করেছে, তাতে নজির তৈরি হল। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করব, যারা জড়িত, তাদের গ্রেফতার করতে হবে।”
যদিও শওকতের নিরাপত্তা বৃদ্ধি নিয়ে সরব বিরোধীরা। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের কটাক্ষ, শওকত কত ভাল বোমা বাঁধত পারেন তা মুখ্যমন্ত্রী জানেন। সে জন্যই তাঁর নিরাপত্তা বাড়ানো হল। কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীর কটাক্ষ, দিদির হার্মাদ বাহিনীর নিরাপত্তার দরকার পড়ছে দেখে ভাল লাগছে। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর কটাক্ষ, মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়ে দিলেন দুষ্কৃতী-সুলভ কাজই তাঁর দল ও সরকারের পছন্দ।
শওকতকে যেমন জেড ক্যাটিগরি নিরাপত্তা দেবে রাজ্য সরকার। তেমনই আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকেও জেড ক্যাটিগরির নিরাপত্তার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। নওশাদের চিঠি পাওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। যদিও এ সংক্রান্ত কোনও নির্দেশিকা এখনও আসেনি নওশাদের কাছে। তাই নিজের নিরাপত্তার দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন আইএসএফ বিধায়ক।