অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল সাংসদ
Image Credit source: Tv9 Bangla
কলকাতা: আজ কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। চার রাজ্যে বিধানসভার ফল ঘোষণার পর এই প্রথম প্রতিক্রিয়া দিলেন তৃণমূল ‘সেনাপতি’। জয়ী দলকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি, পরাজিতদের নিজেদের ভুল-ত্রুটি শুধরে নেওয়ার বার্তা দিলেন তৃণমূল সাংসদ।
এক নজরে সব আপডেট (সর্বশেষ তথ্য উপরে)
- অভিষেক: আমরা ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছি। তারপর একুশে জিতেছি। সাগরদিঘিতে হারের পর আমরা শিক্ষা নিয়েছি। মানুষের কাছে গিয়েছি। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছি।
- অভিষেক: কংগ্রেসের উচিৎ নিজেদের ভুল ত্রুটি পর্যালোচনা করা। প্রতিভাবানদের সুযোগ দেওযা হয় না। ভুল সংশোধন যদি আগে করা হত এটা হত না। রাজস্থানে ২ শতাংশে হেরেছে। এটা কিছু না। মতানৈক্য আগে শুধরে নিলে এমনটা হত না।
- অভিষেক: যে সব থেকে বেশি চিৎকার করছে তাঁকে টিভির পর্দায় টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। ছোটবেলায় আমরা পড়তাম, পকেটমার হইতে সাবধান। রাস্তায় যাঁরা চুরি করে, পকেটমারি করতে তাঁদের দেখবেন চুরির পর দূরে দাঁড়িয়ে চোর বলে চিৎকার করে। এরা সেই পকেটমার। নিজেরা পকেট মেরে চোর বলে চিল্লায়। বিজেপি নেতারা সেই পকেটমার। নারদায় যারা যুক্ত রয়েছেন সেই সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ববি হাকিম, মদন মিত্রকে গ্রেফতার করা হল। শুভেন্দুকে কেন গ্রেফতার করা হল না? মোদী যে বলছেন, না খাউঙ্গা না খানে দুঙ্গা! তাহলে শুভেন্দুকে গিয়েই শুরু করুন।
- অভিষেক: যন্তর-মন্তরে যারা গিয়েছিলেন কষ্ট করে। কোলে পিঠে সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে যারা নিজেদের হকের পাওনা আদায় করতে গিয়েছিলেন তাঁদেরকে আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। লোকসভা-রাজ্য়সভার যাঁরা সাংসদ তাঁরা নিজেদের একমাসের মাইনে থেকে ২৮০০ জনের কাছে কিছু অর্থ পাঠিয়েছি। এখন বিজেপি বলেছে এটা চুরি টাকা। এ নিয়ে ওরা ইডি-সিবিআই দিয়ে তদন্ত করুক। এটা পার্লামেন্টের টাকা। এটা সাংসদের মাইনে থেকে দেওয়া। ভারত সরকারের টাকা কি চুরির টাকা? আমি মানুষের প্রতি দায়বদ্ধ। তাই দিচ্ছি। এখন তো বিধায়কদের মাইনে বেড়েছে। ওরাও মানুষকে দিক।
- অভিষেক: রাজ্য কংগ্রেসের প্রদেশ নেতৃত্ব রয়েছে তাঁরা আত্মতুষ্টিতে ভুগছেন। যোগ্যদের সুযোগ না করে দিয়ে লাইম লাইটে থাকার মরিয়া চেষ্টা তার বাইরে কংগ্রেসের স্থানীয় বা প্রদেশ নেতাদের বেরতে হবে। আমরা প্রথম দিন থেকে বলছি যে যেখানে শক্তিশালী তাঁকে সেখান থেকে লড়ার সুযোগ করে দেওয়া হোক।
- বিরোধীরা উন্নয়নের পক্ষে বাধা হয়ে যদি দাঁড়ায় তাহলে তো মোদী সরকারের এগিয়ে আসা উচিত। এখানে একশো দিনের কাজের টাকা বন্ধ কেন?
- মহুয়া মৈত্র সম্পর্কে অভিষেক বলেছেন, “মহুয়া মৈত্র সাবলম্বী। নিজের লড়াই লড়তে পারেন। সকলকে নিজের লড়াই লড়তে হবে। আমিও লড়ছি। আমাকে, আমার স্ত্রী-মা-বাবা-সকলকে ইডি সিবিআই দিয়ে হেনস্থা করা হয়েছে। নব জোয়ার যাত্রার সময়ও হেনস্থা করা হয়েছে। আমি ও স্ত্রী দু’জন মিলে বিগত তিন বছরে বারো বার ইডি-সিবিআই এর কাছে উপস্থিত হয়েছি। তাই সকলকে নিজের লড়াই লড়তে হবে।
- লোকসভা নির্বাচনে বয়সের মাপকাঠি দেখে প্রার্থী হওয়া নিয়ে অভিষেক বলেছেন, “এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক করবেন। আমার কাছে পরামর্শ চাইলে তখন দেব।
- অভিষেক: শুভেন্দু ইঙ্গিত করতে চাইছেন সরকার ভেঙে দেবে। উনি চেষ্টা করুন। মানুষ জবাব দেবে। এর আগেও বলেছেন সরকার ২১-২২-২৩ এ পড়ে যাবে। আসলে লোকসভা ভোটের আগেই এই সব বলে বাজার গরম করতে চাইছেন। পঞ্চায়েত ভোটে পূর্ব মেদিনীপুরে কী হাল হয়েছে দেখেছেন। যে নিজের গড় বাঁচাতে পারে না সে সরকার ভাঙবে কী করবে
- অভিষেক: তৃণমূলের ভিতরে যে কেউ ব্যক্তিগত মতামত দিতে চান দিতে পারেন। শুধু দল বলে নয়, যে কোনও জায়গায় আমি মনে করি উর্ধ্বসীমা থাকা দরকার। যে পরিশ্রম একজন পঞ্চাশ বছরের মানুষ বা চল্লিশ বছরের মানুষ করতে পারেন সেটা কোনও দিন আমার বয়স বেড়ে গেলে করতে পারব না। সেই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে কুণাল ঘোষ বলতে পারেন। তবে প্রবীণদেরও অত্যন্ত প্রয়োজন। তাঁদের অভিজ্ঞতা দলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
- অভিষেক: ইন্ডিয়ার ভবিষত মানুষ ঠিক করবে। যাঁরা ধর্মকে হাতিয়ার করে রাজনীতি করে আমি মনে করি তাঁরা রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া। এই রাজনীতি চিরস্থায়ী হয় না। এদর রাজনৈতিক পতন সময়ের অপেক্ষা।
- অভিষেক: অক্সিজেন দেব না কার্বন ডাই অক্সাইড তা মানুষ ঠিক করবে। ২০১৮ সালে যখন তিনটে রাজ্যে যখন কংগ্রেস জিতেছিল তখন সবাই বলেছিল যে এর প্রভাব ২০১৯ এর লোকসভা ভোটে পড়বে না। সেটা বিজেপি-র তরফেই বলা হয়েছিল। তাদের এই যুক্তি ধরলে ২০২৪ এ পড়বে না। আমি মনে করি সময় অপচয় না করে কাজ কবে।
- অভিষেক : যাঁরা নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন তাঁরা নিজেদের ভুলত্রুটি গুলো পর্যালোচনা করুন। আগামী দিনে যেন এই ভুল না ঘটে। তাঁরাও মানুষের স্বার্থে গঠনমূলক ভাবে কাজ করতে পারেন আমি অনুরোধ করব। জিতেছেন তাঁদের শুভেচ্ছা।