কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আদালতের একক বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এবার ডিভিশন বেঞ্চে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিচারপতি অমৃতা সিনহা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির অধিকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, ‘৩ অক্টোবরের অনুসন্ধান এবং তদন্ত যাতে ব্যাহত না হয়’ তা দেখার জন্য। গত ২৭ সেপ্টেম্বর অভিষেকের হাজিরা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করার পরই নাম না করে এই নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি সিনহা। সেই নির্দেশকে কার্যত চ্যালেঞ্জ জানিয়েই এবার ডিভিশন বেঞ্চে অভিষেক। দুপুর সাড়ে ১২টায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আর্জি মামলার শুনানি হবে বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবীর বক্তব্য, এদিন সকাল সাড়ে দশটায় হাজিরার কথা ছিল সমনে। তার আগে দ্রুত যেন এই মামলায় শুনানি হয়, তারই আর্জি জানান তাঁরা। সিঙ্গল বেঞ্চ তদন্তের প্রতিটি পদক্ষেপ কি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে? জানতে চান। তাঁর বক্তব্য, আদালতের নজরাধীনে যখন কোনও তদন্ত হয়, তখন শুধুমাত্র আদালত ‘নজরদারি’ চালাতে পারে, ‘সুপারভাইজ করতে পারে না’। সিঙ্গল বেঞ্চ কি তদন্তের প্রতিটি পর্যায় নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, জানতে চান অভিষেকের আইনজীবী।
পাল্টা বিচারপতির প্রশ্ন, আগেও কি সমন পেয়ে অভিষেক গিয়েছিলেন? আইনজীবী কিশোর দত্ত জানান, ‘হ্যাঁ’। বিচারপতি মন্তব্য করেন, ‘তাহলে আবারও যান। আজ যদি অসুবিধা হয় সেটা জানিয়ে পরে চলে যান।’ আইনজীবী কিশোর দত্ত বলেন, ‘এভাবে কেন বিচারপতি বলছেন?’।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সমন পাঠায় ইডি। সিজিও কমপ্লেক্সে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়। ঠিক তার পরদিনই কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি ছিল। বিচারপতি অমৃতা সিনহার একক বেঞ্চে মামলা চলছে।
সেদিন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির অফিসার মিথিলেশকুমার মিশ্রকে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। একইসঙ্গে বিচারপতি সিনহা মন্তব্য করেন, ৩ অক্টোবর যে সমন পাঠানো হয়েছে, তা যেন কোনওভাবেই নড়চড় না হয়। তা নিয়ে ইডিকে পদক্ষেপ করতে হবে।