Lok Sabha Election: সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে ভোট চাইছে তৃণমূল, আবার কী হল?
TMC: কেন হঠাৎ এমন চটলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ? এক্স হ্যান্ডেলে বেশ বিরক্তির ভাবে ডেরেক লিখেছেন, 'নির্বাচিত রাজ্য সরকারের অফিসারদের বদলি করে দেওয়া হচ্ছে!' নিজের এই সমস্ত অভিযাগের কথা জানিয়েই এবার সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে নির্বাচনের দাবি তুললেন ডেরেক ও'ব্রায়েন।
কলকাতা: এবার সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে নির্বাচনের দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন এবার এই দাবিতেই সরব হলেন এক্স হ্যান্ডেলে। মঙ্গলবার এক্স হ্যান্ডেলে ডেরেক লিখেছেন, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য তাঁরা সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে ভোট চাইছেন। কিন্তু কেন হঠাৎ এমন দাবি করলেন ডেরেক? নির্বাচন কমিশনের উপর কি ভরসা রাখতে পারছেন না তৃণমূল সাংসদ? এক্স হ্যান্ডেলে সে বিষয়টিও খোলসা করেছেন ডেরেক নিজেই। সরাসরি বিজেপিকে বিঁধে তৃণমূল সাংসদের বক্তব্য, ‘জাতীয় নির্বাচন কমিশনের মতো প্রতিষ্ঠানকে নষ্ট করছে বিজেপির কৌশল। বিজেপি কি আমজনতার মুখোমুখি হওয়া নিয়ে এতটাই চিন্তায় রয়েছে, যে তারা বিরোধীদের নিশানা করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে নিজেদের পার্টি অফিসে পরিণত করছে?’
BJP’s filthy tricks destroying institutions like ECI. Are BJP so nervous to face people that they are turning ECI into a party office to target Oppn? ECI or HMV? Transferring officers of elected State govts! For free & fair elections WE WANT SUPREME COURT MONITORED ELECTION 2024
— Derek O’Brien | ডেরেক ও’ব্রায়েন (@derekobrienmp) March 19, 2024
কেন হঠাৎ এমন চটলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ? এক্স হ্যান্ডেলে বেশ বিরক্তির ভাবে ডেরেক লিখেছেন, ‘নির্বাচিত রাজ্য সরকারের অফিসারদের বদলি করে দেওয়া হচ্ছে!’ নিজের এই সমস্ত অভিযাগের কথা জানিয়েই এবার সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে নির্বাচনের দাবি তুললেন ডেরেক ও’ব্রায়েন। উল্লেখ্য, নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই কার্যকর হয়ে গিয়েছে আদর্শ আচরণ বিধি। গতকালই রাজ্য পুলিশের ডিজি পদ থেকে রাজীব কুমারকে সরানোর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে কমিশন। আর এরপরই মঙ্গলবার ডেরেকের এই টুইট যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এদিকে ডেরেকের এই দাবির পর পাল্টা দিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। ডেরেককে খোঁচা দিয়ে সুকান্ত বলেন, ‘এত ঝামেলা করার দরকার নেই, বাজার থেকে একটি মোটা খাতা নিয়ে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে দিন। উনি নতুন সংবিধান রচনা করে দিন। যেটা লিখবেন, সেটাই সংবিধান হবে ভারতের। অসুবিধা কী আছে!’