কলকাতা: পাঁচ বছর ধরে সাংসদ পদে রয়েছেন মিমি চক্রবর্তী। যাদবপুরের মতো গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র থেকে তাঁকে টিকিট দিয়েছিল তৃণমূল। এবার ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে খোদ সুপ্রিমো মমতার কাছে ক্ষোভের কথা জানিয়ে চিঠি দিলেন অভিনেত্রী-সাংসদ। দলের অন্দরে কি ক্ষোভের আগুন ক্রমশ বাড়ছে? ভোটের আগে সেই প্রশ্নই সামনে আসছে। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় ডাকা হয়েছিল মিমি চক্রবর্তীকে। সকাল ১১ টায় বিধানসভায় যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। সূত্রের খবর আজ, এর আগে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠান মিমি। আর চিঠি জুড়ে নাকি শুধু ক্ষোভের আগুন! সম্প্রতি আর এক সাংসদ দেবের গলায় রাজনীতি ছাড়ার কথা শোনা গিয়েছিল।
সূত্রের খবর, চিঠিতে মিমি জানিয়েছেন রীতিমতো মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছেন তিনি। কখনও মঞ্চে, কখনও ফোনে, কখনও অন্যভাবে তাঁকে অপমান সহ্য করতে হয়েছে বলেও দাবি করেছেন মিমি। শুধু অপমান নয়, উপেক্ষাও নাকি সহ্য করতে হয়েছে তাঁকে। সেই যন্ত্রণার কথা বলে শেষ করতে পারবেন না, এমনটাও দাবি করা হয়েছে চিঠিতে।
শুধু তাই নয়, করোনা পরিস্থিতি যাদবপুর কেন্দ্রে কী কী কাজ করেছেন, সেই বর্ণনাও চিঠিতে দিয়েছেন মিমি। জানা যাচ্ছে, মিমি তাঁর চিঠিতে জানিয়েছেন, মানসিক যন্ত্রণার কথা সামনা সামনি হয়ে বলতে পারতেন না, তাই চিঠিতে লিখেছেন এ সব। এরপরই তৃণমূল সুপ্রিমো তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
কার বিরুদ্ধে অভিযোগ মিমির? কে তাঁকে অপমান করেছেন? চিঠিতে সে কথা উল্লেখ করেননি মিমি। তবে যাদবপুর কেন্দ্রে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, মিমি-র বিরোধী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধেই এই অভিযোগ উঠেছে।
এই প্রসঙ্গে অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষ বলেন, “আমি তো অনেক আগে বেরিয়ে চলে এসেছি। আমার যে বন্ধুরা রয়েছেন, তাঁরাও এই চুরিকে প্রশয় দেওয়া, গণতন্ত্র লুঠ করার চক্রান্ত দেখতে পারছেন না। তৃণমূলে ভাল কথা বললে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়, এটা তো সবাই দেখেছে। কেউ আগে মুখ খুলছে, কেউ পরে।”