Sujay Krishna Bhadra: দিল্লির নির্দেশেই ‘কালীঘাটের কাকু’র গ্রেফতারি নয় তো? এজেন্সির ‘অতিসক্রিয়তা’ নিয়েও প্রশ্ন কুণালের

সৌরভ গুহ | Edited By: Soumya Saha

May 31, 2023 | 5:17 PM

Recruitment Scam: তৃণমূল মুখপাত্রর ব্যাখ্যা, বাইরন বিশ্বাস তৃণমূলে যোগদানের পর বিরোধীদের গোপন আঁতাতের মনোবলে ধাক্কা লেগেছে। বললেন, 'সেখান থেকে নজর ঘোরাতে এজেন্সিকে ব্যবহার করে এই মহল তৈরি করেছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে।'

Sujay Krishna Bhadra: দিল্লির নির্দেশেই কালীঘাটের কাকুর গ্রেফতারি নয় তো? এজেন্সির অতিসক্রিয়তা নিয়েও প্রশ্ন কুণালের
সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র

Follow Us

কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) কাণ্ডে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র (Sujay Krishna Bhadra) ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’র গ্রেফতারির পর শাসকদল বিঁধছে বিরোধীরা। বিরোধীদের অনেকে আবার এই গ্রেফতারিকে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সবচেয়ে বড় ব্রেক-থ্রু হিসেবে দেখছেন। তাঁদের ব্যাখ্যা, সুজয়কৃষ্ণের গ্রেফতারি পার্থর গ্রেফতারির থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আর এই নিয়ে এবার বিরোধীদের পাল্টা দিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। একের পর এক প্রতিআক্রমণ শানালেন কুণাল। তৃণমূল মুখপাত্রর ব্যাখ্যা, বাইরন বিশ্বাস তৃণমূলে যোগদানের পর বিরোধীদের গোপন আঁতাতের মনোবলে ধাক্কা লেগেছে। বললেন, ‘সেখান থেকে নজর ঘোরাতে এজেন্সিকে ব্যবহার করে এই মহল তৈরি করেছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে।’

একইসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্রর বক্তব্য, ‘কাউকে গ্রেফতার করা মানেই তাঁর বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে, বা তিনি অপরাধী প্রমাণিত… এমন বিষয় একেবারেই নয়। এই গ্রেফতারি নানা কারণে হতে পারে। নানা চিত্রনাট্যের পরিণাম হতে পারে। যদি তাঁরা সবই জানেন, তাহলে তাঁরা আগে বলেননি কেন? যদি তাঁরা সব জেনে থাকেন, তাহলে কোর্টে হলফনামা দিয়ে বলুন তাঁরা এই মামলায় যুক্ত হতে চান এবং তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে চান। শুধুমাত্র নেতিবাচক ভিত্তিহীন কুৎসা দিয়ে তৃণমূলকে কলুষিত করা যাবে না।’ কুণাল ঘোষের বক্তব্য, বিরোধীরা যদি সব জেনেই থাকেন, তাহলে তাঁরা যেন সরাসরি তদন্তকারী সংস্থার কাছে গিয়ে বিবৃতি দেন।

কুণাল ঘোষের সন্দেহ, কেন্দ্রীয় এজেন্সির এই ‘অতিসক্রিয়তার’ পিছনে রাজনৈতিক ইন্ধন থাকতে পারে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার প্রসঙ্গে বললেন, ‘পক্ষপাতদুষ্ট অতিসক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ থেকে যাচ্ছে।’ এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কুণাল আরও বললেন, ‘দিল্লির নির্দেশে, বিজেপির নির্দেশে এই ধরনের কোনও কাণ্ড ঘটানো হল কি না, সেটাই তো একটা বড় প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।‘ তৃণমূল মুখপাত্রর বক্তব্য, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার কর্মসূচি বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেসের মধ্যে ত্রাসের সঞ্চার করেছে। অভিষেকের নবজোয়ারকে ভয় পাচ্ছে এরা। যেন-তেন প্রকারে অভিষেকের নবজোয়ারে বিঘ্ন ঘটানোর ও সেখান থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কখনও অভিষেককে অকারণে নোটিস দেওয়া হচ্ছে। কখনও তদন্তের নামে নেতিবাচক বার্তা দেওয়া হচ্ছে। নবজোয়ার থেকে নজর ঘোরাতে এই ধরনের কাণ্ডকারখানা করা হচ্ছে।’

Next Article