কলকাতা : সম্প্রতি কানাডার এক তথ্যচিত্রের পোস্টারে কালীর ছবি ঘিরে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে। নেটদুনিয়া তোলপাড় হচ্ছে। আর এরই মধ্যে সোমবার এক সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠানে গিয়ে মা কালীর শাক্ত আচারে পূজা সম্পর্কিত বিষয়ে মন্তব্য করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তবে দলের সাংসদের সেই মন্তব্যের দায় নিল না তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের তরফ থেকে স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে, ওই মন্তব্য মহুয়া মৈত্রর ব্যক্তিগত। কোনওভাবেই এর সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই। এই ধরনের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করে তৃণমূল কংগ্রেস। বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের শাসক শিবিরকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপিও।
বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি রথীন্দ্র বসু এই বিষয়ে ফেসবুকে লিখেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সোজাসুজি প্রশ্ন। আপনি যিনি নিজেই বাড়িতে কালীপুজো করেন, আপনি তৃণমূল সংসদ মহুয়া মৈত্রের বক্তব্য সমর্থন করবেন?” এই প্রসঙ্গে মহুয়া মৈত্রর অতীতের বেশ কিছু মন্তব্যের কথাও নিজের ফেসবুক হ্যান্ডেলে লেখেন বিজেপি নেতা। সঙ্গে সায়নী ঘোষ, নির্মল মাঝি, বিশ্বজিৎ দাস, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মদন মিত্রের মন্তব্যের কথাও স্মরণ করান তিনি।
মহুয়ার মন্তব্যকে কেন্দ্র করে শাসক শিবিরকে এক হাত নিয়েছেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁও। প্রশ্ন তুলেছেন, ” শুনছি মহুয়া মৈত্র অনেক কিছু বলছেন। তাহলে ওনাদের কালীঘাটের নামটাই বদলে দেওয়া উচিত। আমরা থানায় থানায় অভিযোগ করব।”
সোমবার তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র এক সংবাদ মাধ্যমের অনুষ্ঠানে গিয়ে মা কালীর শাক্ত আচারে পূজা সম্পর্কে একটি মন্তব্য করেছিলেন। সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেছিলেন, “কালী ভক্ত হিসেবে আপনি কীভাবে দেবীকে দেখতে চান, তা কল্পনা করার অধিকার রয়েছে।” সোমবার মহুয়ার এই মন্তব্যের পরই বিরোধী শিবির থেকে তীব্র আক্রমণ করা হয়। এরপর টুইট করে তৃণমূলের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, মহুয়া মৈত্রের ওই মন্তব্যকে সমর্থন করে না দল। এমনকী ওই মন্তব্যের নিন্দাও করা হয় তৃণমূলের তরফে।
দলের তরফে ওই টুইটের কিছু সময় পরে একটি টুইট করেন সাংসদ মহুয়া মৈত্রও। লিখেছেন, আমি কোনও সিনেমা বা কোনও পোস্টারকে সমর্থন করিনি। ধূমপান বিষয়ও উল্লেখ করিনি। আপনাদের বলছি, তারাপীঠে গিয়ে একবার দেখে আসুন মা কালীকে ভোগ হিসেবে কী খাদ্য ও পানীয় দেওয়া হয়।”