Rajanya Haldar: প্রেসিডেন্সির গেট টপকে ভাইরাল, ‘মমতাদিদি-অভিষেকদার’ হঠাৎ নজরে পড়া কে এই রাজন্যা হালদার
Jadavpur: সোনারপুরের মেয়ে রাজন্যা হালদার। বাবা শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত। আদি বাড়ি জয়নগর। দশম শ্রেণি অবধি যাদবপুর বিদ্যাপীঠে পড়াশোনা করেছেন। কলকাতার বিনোদিনী গার্লস হাইস্কুলে একাদশ-দ্বাদশ।

কলকাতা: তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে দাঁড়িয়ে এক তরুণী স্লোগান তুললেন, ‘জুলমি জব জব জুলুম করেগা, সত্তাকে হাতিয়ারো সে; চপ্পা চপ্পা গুঞ্জ উঠেগি মমতাদিদিকি নাড়ো সে, অভিষেকদাকে নাড়ো সে…।’ মঞ্চে সব পোড়খাওয়া নেতারা তখন যেন নড়েচড়ে বসছেন। ঘাড় বাড়িয়ে অনেকেই চেনার চেষ্টা করছেন, মেয়েটি কে? সত্যিই সেদিনও রাজ্যবাসী কেন, তৃণমূলের অধিকাংশ নেতার কাছেই আনকোরা মুখ ছিলেন সোনারপুরের তরুণ তুর্কি রাজন্যা হালদার। তবে তাঁর সেদিনের ঝাঁঝালো বক্তৃতা শুনে অনেকেই বলেছিলেন, নতুন মুখ উঠে এলে বোধহয়। সত্যিই ধীরে ধীরে তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের মুখ হয়ে উঠছেন তিনি। এই মুহূর্তে রাজ্যজুড়ে ‘জ্বলন্ত’ নাম যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। আর সেখানে এই রাজন্যাকেই সংগঠনের চেয়ারপার্সন হিসাবে চেয়েছেন দলের সুপ্রিমো। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ইউনিটের মুখ এই রাজন্যা।
কে এই রাজন্যা ?
সাধারণতও ধীর লয়ে কথা বলেন রাজন্যা। তবে প্রতিটা শব্দ উচ্চারণে অতিরিক্ত জোর লক্ষ্য করা যায়। বাচিক শিল্পের সঙ্গে ছোট থেকেই তাঁর যোগ। কথাতেও তার ছাপ স্পষ্ট। যদিও পরিস্থিতি তেমন হলে কোমল স্বর চড়ে সপ্তমেও। সে প্রমাণও রেখেছেন ইতিমধ্যেই।
সোনারপুরের মেয়ে রাজন্যা হালদার। বাবা শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত। আদি বাড়ি জয়নগর। দশম শ্রেণি অবধি যাদবপুর বিদ্যাপীঠে পড়াশোনা করেছেন। কলকাতার বিনোদিনী গার্লস হাইস্কুলে একাদশ-দ্বাদশ। এরপর প্রেসিডেন্সিতে বাংলা নিয়ে পড়তে যাওয়া। সেখান থেকেই স্নাতকোত্তর শেষ করে বিএড। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএড পড়ছেন।
ছোট থেকেই পড়াশোনায় ভাল রাজন্যা। খুব ভাল গানেরও গলা তাঁর। মুখ্যমন্ত্রীর তৈরি করে দেওয়া গানের ব্যান্ড ‘জয়ী’র লিড ফিমেল তিনি। এছাড়া কবিতা লেখেন রাজন্যা। পশ্চিমবঙ্গ সাহিত্য আকাদেমিতে কবিতাও পড়েন প্রায়শই। রক ক্লাইম্বিংয়ও করেন তিনি।
কংগ্রেসি পরিবারের মেয়ে
ছোটবেলা থেকে কংগ্রেসি রাজনীতির পরিসরে বেড়ে উঠেছেন রাজন্যা হালদার। বাবা ছাত্র পরিষদের নেতাও ছিলেন। পরে তৃণমূলে যোগ দেন। ওয়েবকুপার দায়িত্বে ছিলেন। ২০১৭ সালে রাজনীতিতে যোগ দেন রাজন্যা হালদার। প্রেসিডেন্সি থেকে স্বাধীন হিসাবে প্রথম সিআর ইলেকশন জেতেন। ২০১৯ সালে ফের স্বাধীন হিসাবে সিআর।
২০২২ সালে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূলের ইউনিট শুরু। রাজন্যা তখন প্রেসিডেন্সির প্রাক্তনী। ইউনিট শুরুর দু’ একদিনের মধ্যেই রাজন্যাকে ক্যাম্পাসে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। বলা হয়েছিল, প্রাক্তনী ঢুকতে পারবে না। সেদিন হাতে তৃণমূলের ঝান্ডা নিয়ে গেট টপকে ভিতরে ঢুকেছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ‘মেয়ের কীর্তি’। এরপর থেকেই ধীরে ধীরে প্রচারের আলোয় আসতে থাকেন রাজন্যা হালদার। ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে বক্তৃতাই ‘প্রাইম ফোকাস’-এ তুলে আনে রাজন্যাকে। এরপর যাদবপুরের ঘটনায় একেবারে সামনে থেকে লড়াই।
