কলকাতা: প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে কেউ কলকাতায় এলে, বাড়িতে কিছু না নিয়ে যাক, এক ড্রাম গঙ্গার জল নিয়ে যাবেনই! এ এক গ্রাম বাংলার অলিখিত প্রথা। আর কলকাতায় রাত কাটালে তো কথাই নেই। গঙ্গা স্নান মাস্ট! ২১ জুলাই সকালে তেমনই দৃশ্য দেখা গেল গঙ্গার বিভিন্ন ঘাটে। সকাল সকাল গঙ্গাস্নান করার তৎপরতা দেখা গেল তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে।
২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে শেষ ২১ জুলাই। দলনেত্রী কী সুর বেঁধে দেন, তা শুনতে শুক্রবার কাতারে কাতারে তৃণমূল কর্মী সমর্থক ধর্মতলামুখী। ভোর থেকে সড়কপথ, রেলপথ, জলপথে আসছেন তৃণমূলকর্মীরা। এদিন সকাল থেকে গঙ্গার ঘাটগুলিতে ভিড়। সকাল সকাল যাঁরা আসছেন, রথ দেখা কলা বেচার মতোই ধর্মতলায় দলনেত্রীর বক্তব্য শুনতে যাওয়ার আগে গঙ্গাস্নান সেরে নিচ্ছেন।
শুক্রবার সকাল থেকে বাবুঘাটে তৃণমূল কর্মীদের ভিড়। শুধু গঙ্গাস্নানই নয়, কেউ কেউ ব্যাগে ভরে নিয়ে এসেছেন জলের বোতল কিংবা জারিক্যান। তাতেই গঙ্গাজল নিয়ে নিচ্ছেন বাড়ির জন্যও। বাবুঘাটে স্নান সেরে ওঠা এক তৃণমূল কর্মী জানালেন, “১০টায় নেমেছি। খাওয়াদাওয়া সেরে এখানে স্নান করলাম। এবার ধর্মতলায় যাব।”
তৃণমূল কংগ্রেস এই মুহূর্তে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ। কয়লা চুরি থেকে চাকরি চুরি, গরু পাচার কিংবা বালি পাচার- অভিযোগের তালিকা দীর্ঘ। তবে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা তৃণমূল কর্মীরা বলছেন, এসব ষড়যন্ত্র। এতে বিরোধীরা কিছুই পাবে না। বাবুঘাটে দাঁড়িয়েই এক তৃণমূল কর্মী বললেন, “ওসব আমরা মানি না। ওগুলা ফালতু কথা। তৃণমূলকে সহ্য করতে পারে না। যার জন্য ইসব কথা।” শুধু তাই নয়, প্রত্যন্ত এলাকা থেকে আসা এইসমস্ত তৃণমূল কর্মীদের শরীরী ভাষায় ১০০ শতাংশ আত্মবিশ্বাস। বলছেন, লোকসভা ভোটে ৪২-এ ৪২ হবে।