কলকাতা: বুধবার আট ঘণ্টার উপর ইডি-র প্রশ্নবাণ সামলেছিলেন সুকন্যা। বৃহস্পতিবার প্রায় ৭ ঘণ্টা ইডির চোখা প্রশ্ন সামলান সুকন্যা। এই নিয়ে তিনবার! আজ ফের ইডি দফতরে পৌঁছলেন সুকন্যা। সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ ইডি দফতরে পৌঁছন তিনি। মুখে ছিল কালো মাস্ক। সূত্রের খবর, লক্ষ্মীবারে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পরও সন্তুষ্ট নয় ইডি। তাই আজ ফের তলব করা হয়েছে কেষ্ট-কন্যাকে।
ফের তলব, ফের প্রশ্নোত্তর পর্ব। কার টাকা, কীসের টাকা, কোথা থেকে এল, কোথায় গেল – অফুরান প্রশ্নের সম্মুখীন তাপস। শুক্রবার আবারও ইডির প্রশ্নের মুখোমুখি হবেন সুকন্যা মণ্ডল। সূত্রের খবর, ২ দিনের প্রশ্নোত্তর পর্বে বেশ কিছু প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছেন সুকন্যা। ফলে সম্পত্তির খুঁটিনাটি জানা এখনও বাকি। তাই বৃহস্পতিবারের সাত ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদ পর্বের পর, অনুব্রত-কন্যা সুকন্যাকে তৃতীয়বার তলব ইডির। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার জিজ্ঞাসাবাদে তদন্তকারীরা জোর দেন সুকন্যার সংস্থার উপর।
সুকন্যার সংস্থা ANM অ্যাগ্রোকেমের অধীন থাকা ভোলে ব্যোম রাইস মিলের মালিকানা নিয়ে প্রশ্ন
কোটি কোটি ভূতুড়ে টাকা কোথা থেকে এল অনুব্রত কন্যার কোম্পানিতে? কোটির হিসেবে দেদার ধার দিয়েছেন অনুব্রত কন্যা, এত নগদ টাকা পেলেন কোথায়?
সায়গলের বয়ানের বিষয়েও সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। তবে শুধু সুকন্যা নন, বৃহস্পতিবার ইডি-র জেরার মুখোমুখি হন কেষ্টর চাটার্ড অ্যাকাউট্যান্ট মণীশ কোঠারি ও ব্যবসায়ী রাজীব ভট্টাচার্যও।
সূত্রের মতে, ৩ জনের কারও সঙ্গে কারও দেখা হয়নি ইডি দফতরে। সূত্রের খবর, রাজীবের কাছে ইডি জানতে চায়, তিনি মণীশকে চেনেন কি না? রাজীব জানান অনুব্রতর CA হিসাবে তিনি মণীশকে চেনেন
অন্যদিকে, মণীশকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদে তদন্তকারীরা জানতে চান, অনুব্রতর সঙ্গে তিনি কবে থেকে যুক্ত?
সূত্রের খবর, ইডির প্রশ্নে মণীশ জানান, ২০১৮ থেকে তাঁর অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ
সূত্রের দাবি, এই জবাব বেশ অনেকক্ষণ ইডি কর্তারা মানতে চাননি। জিজ্ঞাসাবাদে সন্তুষ্ট না হওয়ায় সুকন্যা ও মণীশ দুজনকেই ফের তলব করেছে ইডি। সূত্রের মতে, রাজীবকেও ইডির ডাকার সম্ভাবনা প্রবল। এদিনই আবার সায়গল হোসেনকে রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে তোলা হবে। প্রথম ধাপে মণীশের মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সম্ভাবনাও রয়েছে। মনে করা হচ্ছে শুক্রবার ফের সায়গলকে নিজেদের হেফাজতে চাইবে ইডি। অন্যদিকে একদিকে যখন সুকন্যার জেরা চলবে ইডি দফতরে তখন সুপ্রিম কোর্টে উঠবে অনুব্রতর ভোট পরবর্তী হিংসার মামলা। সেখানে অবশ্য সিবিআই এর সঙ্গে আইনি যুদ্ধ করতে হবে কেষ্টর আইনজীবীদের। এক দিকে নিজের মামলা, অন্য দিকে মেয়ের তৃতীয় দিনের জেরা। জোড়া চাপে কেষ্ট। এখন প্রশ্ন একটাই, অনুব্রতর কাছে স্বস্তির শুক্রবার হবে না ব্ল্যাক ফ্রাইডে?