কলকাতা: গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ভয়ঙ্কর হল বাংলার করোনা (COVID-19) পরিস্থিতি। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ৫০০ থেকে ৬৫০ ছুঁই ছুঁই দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। একদিনে রেকর্ড সংখ্যক আক্রান্ত হলেন ভোটের বঙ্গে। শুক্রবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর যে বুলেটিন প্রকাশ করেছে, তাতে গত একদিনে ৬৪৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে চারজনের। পরিস্থিতি এতটাই ঘোরাল যে কোভিড পরিস্থিতিতে রং খেলা নিয়ে সতর্কবার্তা দিল স্বাস্থ্য দফতরও। সূত্রের খবর, সরকারি হাসপাতালগুলির পর এবার বেসরকারি হাসপাতালগুলিকেও কোভিড-বেড বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ আগামী এক মাসে সংক্রমণ যে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে, এ ধরনের নির্দেশিকায় তা একপ্রকার স্পষ্ট।
রবিবার রঙের উৎসব দোল। তার মধ্যে আবার ভোট চলবে। অর্থাৎ রঙের উৎসবে আমজনতার মাতামাতির পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলিও সবরকমভাবে ‘রঙিন জনসংযোগের’ চেষ্টা করবে। স্বাস্থ্য দফতর বলছে, এখানেই লুকিয়ে বিপদ। এত মানুষ একত্রিত হয়ে মাস্ক ছাড়া জমায়েত করলে বড় বিপদের থাবা পড়তে পারে যে কোনও মুহূর্তে।
স্বাস্থ্য দফতর নির্দেশিকায় জানিয়েছে, কোনওরকম জমায়েত বা শোভাযাত্রা এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। বরং পরিবারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকুক এবারের ফাগুন-উদযাপন। দোল বা হোলিতে ধর্মীয় স্থানগুলিতে ভক্ত সমাগম হয়। এ বিষয়ে রাশ টানতে স্বেচ্ছাসেবীদের এগিয়ে আসার কথা বলা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় স্যানিটাইজার, হাত ধোওয়ার বেসিন রাখতে বলা হয়েছে। পুজো যেন খোলা জায়গায় হয়। তাতে নির্দিষ্ট দূরত্ব মেনে ভক্তরা দাঁড়াতে পারবেন। সেক্ষেত্রে অনলাইনে পুজো করারও পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের প্রথম দফায় ৩০ কেন্দ্রে ভোট, শেষবেলায় জেনে নিন কোথায় কী ফ্যাক্টর
একদিনে আক্রান্তের নিরিখে রাজ্যে শীর্ষে কলকাতা। একদিনে আক্রান্ত ২৩৯ জন। এরপরই উত্তর ২৪ পরগনায় আক্রান্ত ১৫৩ জন। ২৫ মার্চের বুলেটিনে এই সংখ্যাটা ছিল যথাক্রমে ১৬৭ ও ১১৫। একদিনে এতটা বাড়বাড়ন্তের একটা কারণ যেমন নির্বাচনী প্রচার। একইসঙ্গে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই দুই জায়গা থেকে নমুনা পরীক্ষা বেশি হচ্ছে। তাই ধরাও পড়ছে। অর্থাৎ রাজ্যের অন্য জেলাগুলিতে যদি এই হারে পরীক্ষা হয়, তা হলে যে আক্রান্তের সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে তা বলাই বাহুল্য।