Jagdeep Dhankhar: ‘রাজ্যপালের ভূমিকা ভয়ঙ্কর’! সংসদে অপসারণের প্রস্তাব নিয়ে ভাবনাচিন্তার ইঙ্গিত সুদীপের

Trinamool Congress: বৃহস্পতিবার সাংসদদের নিয়ে কালীঘাটে বৈঠক করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে কেন্দ্রীয় বাজেট নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি একাধিক বিষয় উঠে আসে বলেই সূত্রের খবর।

Jagdeep Dhankhar: 'রাজ্যপালের ভূমিকা ভয়ঙ্কর'! সংসদে অপসারণের প্রস্তাব নিয়ে ভাবনাচিন্তার ইঙ্গিত সুদীপের
ফের রাজ্য রাজ্যপাল তরজা। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 27, 2022 | 8:11 PM

কলকাতা: রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সপ্তমে সুর তৃণমূলের। রাজ্যপালের অপসারণ দাবি করার কথা ভাবনাচিন্তা করছে তৃণমূল। এ নিয়ে সংসদে প্রস্তাবও আনার কথা ভাবছে তারা। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে লোকসভা এবং রাজ্যসভায় স্বতন্ত্র প্রস্তাব আনতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস, দাবি সূত্রের। বৃহস্পতিবার সাংসদদের নিয়ে কালীঘাটে বৈঠক করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে কেন্দ্রীয় বাজেট নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি একাধিক বিষয় উঠে আসে বলেই সূত্রের খবর। এরই মধ্যে রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়েও কথা হয়। এই বৈঠক থেকে বেরিয়ে তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রাজ্যপালের ভূমিকা ভয়ঙ্কর জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে। আমাদের প্রতি মুহূর্তে এটাই মনে হচ্ছে, ওনাকে নির্দেশ দিয়ে পাঠানোই হয়েছে রাজ্য সরকারকে বিব্রত করার জন্য। আমাদের এবার আরও বেশি যুক্তি দিয়ে লোকসভা, রাজ্যসভায় কিছু প্রস্তাব আনা যায় কি না তা নিয়ে ভেবে দেখা হবে। সেটা সুখেন্দুশেখর রায় দায়িত্ব নিয়ে করবেন।”

এদিন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে মানবাধিকার কমিশন কী করে তৈরি করলেন তা নিয়েও রাজ্যপাল প্রশ্ন করছেন। যেন মনে হচ্ছে রাজ্যপালকে নির্দেশ দিয়ে পাঠানো হয়েছে রাজ্য সরকারকে বিরক্ত করার জন্য। রাজ্যপাল মনোনীত কিন্তু আমরা দুই-তৃতীয়াংশের বেশি ক্ষমতা নিয়ে রাজ্যে রয়েছি। এবার সময় এসেছে লোকসভা ও রাজ্যসভায় এ বিষয়ে কথা বলার। রাজ্যপালের যা অবস্থা তাতে তাঁর নিজের চলে যাওয়া উচিত। রাজ্যপাল সংসদীয় গণতন্ত্রকে টুঁটি টিপে মেরে ফেলার কাজ করছেন।”

কিছুতেই আর রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত মিটছে না। উল্টে আবহ তৈরি হয়েই চলেছে। ২৫ জানুয়ারি বিধানসভায় আম্বেদকরকে মালা দিতে গিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, এ রাজ্যের প্রশাসন, বিভিন্ন বিল, শিক্ষাব্যবস্থা, ভোট পরবর্তী বাংলা এমনকী বিধানসভার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে তাঁর ক্ষোভ, সমস্ত কিছু নিয়ে যেভাবে নিজের কথা তুলে ধরলেন তার তীব্র নিন্দা করেছে শাসকদল। সরকারি অনুষ্ঠানকে কাজে লাগিয়ে রাজ্যপাল ব্যক্তিগত মত পোষণ করেছেন বলে তোপ দেগেছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।

ইতিমধ্যেই, রাজ্যপাল ২৫ জানুয়ারি বিধানসভায় দাঁড়িয়ে যে বক্তব্য রেখেছেন, তার ভিডিয়ো ফুটেজ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের কাছে চেয়ে পাঠিয়েছেন অধ্যক্ষ। তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যপাল যদি নিজে বিধানসভায় আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেন, তাহলে বিধানসভা কর্তৃপক্ষ তাঁর আসার কারণ খতিয়ে দেখবেন। ২৫ তারিখ বিধানসভায় রাজ্যপাল বলেছিলেন, “পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার অধ্যক্ষ যখন যা খুশি বলেন। উনি ভাবেন রাজ্যপালের বিরুদ্ধে যা কিছু বলার ওনার লাইসেন্স আছে। আমি অধ্যক্ষকে একাধিকবার বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করেছি। তথ্য জানাতে বলেছি। কিন্তু উনি সে জবাব দেননি। এভাবে একজন অধ্যক্ষ কখনওই রাজ্যপালকে এড়িয়ে যেতে পারেন না। এটা সংবিধানবিরোধী। উনি যে ভাষায় রাজভবনকে লেখেন তা লজ্জার।”

পাল্টা অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোপ ছিল, “পশ্চিমবঙ্গে উনি একমাত্র রাজ্যপাল নন। এর আগে আরও অনেক রাজ্যপাল এসেছেন। আমি অবাক হয়ে গেলাম উনি এখানে এসে আম্বেদকরের স্মৃতিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে বিধানসভার সমালোচনা শুরু করে দিলেন। এটা অত্যন্ত অসৌজন্যমূলক আচরণ বলেই আমি মনে করি। বিধানসভা এমন একটা জায়গা যেখানে উনি ওনার এক্তিয়ারে কাজ করবেন। আমি আমার এক্তিয়ারে কাজ করব। যদি ওনার সাংবাদিক সম্মেলনের দরকার হোত, উনি রাজভবনে ডেকে পাঠাতে পারতেন। আমি বুঝতে পারছি না উনি কী চাইছেন। উনি কার মুখপাত্র হয়ে কথা বলছেন সেটাও বোঝা গেল না।”

আরও পড়ুন: Digha Hotel: ভয়ঙ্কর দৃশ্য দিঘায়! দাউ দাউ করে জ্বলছে হোটেল, প্রাণ বাঁচাতে কার্নিশে ঝাঁপ পর্যটকের