কলকাতা: ইতিউতি গুঞ্জন চলছিলই। কোথাও নির্দলদের নিয়ে রিসর্ট ভাড়া করে রাখা হয়েছিল । কোথাও আবার নিঃশব্দে নির্দলের সমর্থন আদায় চলছিল। বকলমে যাকে এক কথায় বলা হয় ‘ঘর ওয়াপসি’। কিন্তু তারপরও বহু জেলায় ত্রিশঙ্কু পঞ্চায়েত গঠন হয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন ঘিরে রাজ্যের দিকে দিকে কোন্দল তুঙ্গে। জেলায় জেলায় ত্রিশঙ্কু পঞ্চায়েত সমস্যা মেটাতে কি এবার নির্দলরাই ত্রাতা ?
উল্লেখ্য, ভোটের আগে তৃণমূল সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন দলের হুইপ না মেনে প্রার্থী হলে আর কখনও দলে ফেরানো হবে না। কিন্তু বাস্তবের চিত্র অন্যরকম। রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণ পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করতে একাধিক জায়গায় হোঁচট খেতে হয়েছে শাসকদলকে। বিভিন্ন জায়গায় আবার নির্দলের সমর্থনে বোর্ড গঠনও হয়েছে।
কিন্তু, ওদিকে তৃণমূল ‘সেনাপতির’ ঘোষিত বারণও আছে। তাই কী করা যায় ? নির্দল সঙ্গ নিয়ে দলের বারণ ঘুরিয়ে গোটা বিষয়টি তাঁদের ‘বিবেকের’ উপরই ছাড়লেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। মোটের উপর মুখপাত্রর বক্তব্য, “এতে দলে ফেরানোর কী আছে ? কেউ যদি বিবেকের টানে সমর্থন দেন সেটা তাঁদের ব্যাপার।”
যদিও, এটুকু বলেই ছাড়লেন না কুণাল। রীতিমত ব্যাখ্যা দিয়ে বললেন, “নির্দল হলেও ওনারা তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নীতি আদর্শেই চলেছে। যদি কেউ দেখেন ওনারা সমর্থন না দিলে বোর্ডটা বিরোধীদের হাতে যাচ্ছে, সেটা মেনে নিতে নাই পারেন।” অর্থাৎ ‘ঢাক ঢাক গুরু গুরু’ না করে ঘুরিয়ে নির্দল সঙ্গতেই সিলমোহর দিলেন কুণাল। তাঁর বক্তব্য আবার দলের বক্তব্য বলেই মানছে রাজনৈতিক মহল।
নিজেদের দলের নির্দল ছাড়াও বাম দল ভাঙানোর অভিযোগ শাসক দলের বিরুদ্ধে উঠছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা ,পশ্চিম মেদিনীপুর এ এমন অভিযোগ করছেন বাম নেতারা । অর্থাৎ ‘ঘোড়া কেনা বেচা’ অব্যাহত পঞ্চায়েত স্তরেও । বাঁকুড়ায় আবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ বিজেপির নির্দলকে দলে টানার।
সব মিলিয়ে পরিস্থিতি যা, নিজেদের দলের বিক্ষুব্ধ নির্দলদের সমর্থন এখন জরুরি শাসক শিবিরের কাছে। আবার প্রকাশ্যে ‘নির্দলদের দলে ফিরিয়ে নিলাম’ বলাও যাচ্ছে না । তাহলে শীর্ষ নেতৃত্বের হুইপ নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। ওদিকে পুরসভা স্তরে বহু কাউন্সিলর এখনও দলে ফিরতে পারেনি। তাদের নিয়েও প্রশ্ন উঠবে । তাই ‘বিবেকের’ ডাকেই আস্থা শাসক শিবিরের