কলকাতা : যত এগিয়ে আসছে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayet Election) ততই তপ্ত হচ্ছে বাংলার রাজনৈতিক ময়দান। দিকে দিকে কোমর বেঁধে ভোট প্রচারে নেমে পড়েছেন শাসকদল থেকে বিরোধী শিবিরের তাবড় তাবড় নেতা-মন্ত্রীরা। শনিবার রানাঘাটে (Ranaghat) তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhisekh Banerjee) সামনে রেখে বড় সভার আয়োজন করে ঘাসফুল শিবির। এদিনের সভা থেকে রানাঘাটের বিজেপি (BJP) সাংসদ জগন্নাথ সরকারের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় তোপ দাগলেন অভিষেক। এদিন কার্যত ভবিষ্যদ্বাণী করে অভিষেক বলেন, “লিখে রাখুন এই জগন্নাথ সরকারকে বিজেপি আর টিকিট দেবে না।” ‘ভয় পেয়েছে তৃণমূল, তাই নদিয়ায় বারবার আসছে দলের শীর্ষ নেতারা’, পাল্টা কটাক্ষ জগন্নাথের।
অভিষেকের দাবি মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে বিজেপি। আগামীর নির্বাচনগুলিতেও সেই ছবি দেখা যেতে পারে। অভিষেকের দাবি, জগন্নাথের জায়গায় অন্য মুখ এনে নতুন ‘ফাঁদ’ পাততে পারে বিজেপি। কিন্তু, বিজেপির পাতা ফাঁদে যাতে কেউ না পড়েন সে বিষয়ে এদিন সতর্ক করতে দেখা যায় তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ডকে। তিনি বলেন, “লিখে রাখুন এই জগন্নাথ সরকারকে বিজেপি আর টিকিট দেবে না। আমি ভবিষ্যতবাণী করে যাচ্ছি। এখন নতুন কাউকে একটা টিকিট দিয়ে আপনার সামনে দাঁড় করাবে। বলবে একে ভোট দেওয়া মানে মোদীকে ভোট দেওয়া। মোদীকে ভোট দেওয়া মানে সিএএ হবে। এই ফাঁদে আপনারা পড়বেন না। চোখে দেখতে পাবেন ভোট দেবেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন ভোটে জিতলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার করবেন, করেছেন। চোখে দেখেছেন, ভোট দিন। চোখে দেখতে না পেলে ভোট দেবেন না। কানে শুনে ভোট দেবেন না। জোট বেঁধে কাজের হিসাব নিন আর ঐক্যবদ্ধভাবে জোড়াফুলে ভোট দিন।”
পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে ঘুরিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তীব্র কটাক্ষ করেন জগন্নাথ সরকার। তিনি বলেন, “আমার দল তো পাগলে চালায় না, বুদ্ধিমান লোকেরা চালায়। পাবলিক আমাকে ভালবেসে জিতিয়েছে। বড় ব্যবধানে জিতেছি। দলমত নির্বিশেষে জিতেছি। এটা একটা ইতিহাস। তাই আমার দল টিকিট দেবে কী না দেবে সেটা আমার দল বুঝবে। আমি দলের অনুগত সৈনিক।” তাঁর দাবি নদিয়া দক্ষিণকে পাখির চোখ করেছে ঘাসফুল শিবির। আর সে কারণেই এখানে আসছেন দলের শীর্ষ নেতারা। জগন্নাথ বলেন, “নদিয়া দক্ষিণ দখলের জন্য ওরা বারেবারে আসছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৪ ঘণ্টার প্রোগ্রাম ৪০ মিনিটে শেষ করে পালিয়েছেন। এখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠিয়েছেন। ওরা ভয় পেয়েছে বলে বারেবারে আসছে। কিন্তু, পঞ্চায়েতে আমরা এখানে তৃণমূলকে নির্মূল করে ছাড়ব।”