কলকাতা: রাত পোহালেই পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election 2023)। পরিসংখ্যানের খাতায় রাজ্যজুড়ে লড়াইটা মূলত তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে হলেও পিছিয়ে নেই বামেরা। জেলায় জেলায় হারানো জমি ফিরে পেতে মরিয়া বামেরা। কিন্তু, বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে ভোটের একদিন আগে জয়ের ব্যাপারে কতটা আশাবাদী সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম? তাঁর সাফ জবাব, “জেতা হারা তো মানুষ ঠিক করবেন, গণতন্ত্রের তাই তো নিয়ম।”
এখানেই নাম থেমে শাসকদলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে সেলিম বললেন, “এখন তো গুলি-বন্দুক দিয়ে, কোথাও কোথাও যাঁরা নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে যাঁরা রয়েছেন তাঁরাই ঠিক করে দিচ্ছেন কে প্রতিযোগিতা করবে কে প্রতিযোগিতা করবে না। কিছুদিন আগে তো একটা ঘোষণা করা হল এবারে একদম খুব ভাল ভাল লোকজনকে নির্বাচিত করা হবে। তার জন্য একটা নকল ভোটযাত্রা হয়েছে। কিন্ত, যিনি নবজোয়ারের দিগন্ত খুলে দিচ্ছেন বলে হাজির করা হচ্ছিল, সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছিল তার সেই ডায়মন্ড হারবার থেকেই হিংসার শুরু। তাহলে হিংসাকে বৈধতা কে দিচ্ছে? উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ, পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকে লাগাতার বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে। ভোটের সঙ্গে হিংসাকে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে। বগটুইতে তো ভোট ছিল না। হিংসাটা হল কেন?”
তবে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সেলিমকে এক হাত নিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। রীতিমতো কটাক্ষের সুরে তাঁকে ‘ইতিহাস’ মনে করিয়ে তিনি বলেন, “মহম্মদ সেলিমের কথা শুনতে গিয়ে আমার মনে হচ্ছিল একি কথা শুনি আজ মন্থরার মুখে। ২০০৩ সালের ১২ এপ্রিল তৎকালীন সিপিএমের রাজ্য় সম্পাদক পঞ্চায়েত ভোটের ঠিক আগে বলেছিলেন, বিরোধীদের প্রার্থী কি আমরা সাপ্লাই দেব? ওই ২০০৩ সালে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বলেছিলেন সবাই প্রার্থী দিতে পারে। ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। কিন্তু, অনিল বিশ্বাস বলেছিলেন ওটা সরকারের কথা। পার্টি সরকারের থেকে আলাদা। তাই কোথাও কেউ প্রার্থী দিতে না পারলে তার দায় আমাদের নয়। ওই সময় ৬টা জেলায় কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি। ওই সময় হাজার হাজার পঞ্চায়েত সিপিএম জিতে নিয়েছিল।”