কলকাতা: তৃণমূলে কি জেলা পর্যবেক্ষক পদ আবারও ফিরছে? শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠনে খুব বড় রদবদল হয়েছিল ২০২১ এর ২৬-এ অগস্ট। অনেকে মনে করছেন, তিন বছর পর তেমনই বড় রদবদলের পথে হাঁটছে তৃণমূল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া বার্তার পর এই আলোচনাই ঘুরছে তৃণমূলের অন্দরে। রদবদলের নানা সম্ভাবনার মধ্যেই তৃণমূলে এখন জোর চর্চা দলে কি জেলা পর্যবেক্ষক পদ ফিরছে?
২০২১ সালের ২৬ মার্চ এই পদ আনুষ্ঠানিকভাবে উঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এখন জোরাল চর্চা, সেই পদই কি আবারও ফেরানো হচ্ছে শাসকদলের অন্দরে? সম্প্রতি ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে লোকসভা আসন ভিত্তিক পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছিল দল। উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, রানাঘাট কেন্দ্রের জন্য সব্যসাচী দত্ত, বাঁকুড়া-বিষ্ণুপুর কেন্দ্রের জন্য সমীর চক্রবর্তী কিংবা মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের জন্য জয়প্রকাশ মজুমদার।
এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ জেলায় রাজ্য নেতাদের অলিখিত পর্যবেক্ষক হিসাবে কাজ করতে দেখাও গিয়েছে বিগত দিনে। যেমন পূর্ব মেদিনীপুরের পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে অঘোষিত পর্যবেক্ষক হিসাবেই কাজ করতে দেখা গিয়েছিল কুণাল ঘোষকে। পর্যবেক্ষক পদ না থাকলেও উত্তরবঙ্গের নানা নির্বাচন, পাহাড়ের নির্বাচনের ক্ষেত্রে একপ্রকার পর্যবেক্ষকের ভূমিকাই পালন করতে দেখা যায় অরূপ বিশ্বাসকে।
মালদহ, মুর্শিদাবাদের ক্ষেত্রে একই ভূমিকা পালন করেন ফিরহাদ হাকিম। বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুরের ক্ষেত্রে এই ভূমিকায় ছিলেন সুব্রত বক্সী। শুধু তাই নয়, সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে প্রতি কেন্দ্রে গণনা পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছিল তৃণমূল। গত ২ জুন এই পর্যবেক্ষকদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠকও করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে ব্যাপক রদবদলের জল্পনার মাঝে এখন নয়া চর্চা, দলে কি এবার তবে আনুষ্ঠানিকভাবে আবারও জেলা পর্যবেক্ষক পদ ফেরানো হতে চলেছে?