কলকাতা: আম্বেদকরের নাম নিয়ে অমিত শাহের মন্তব্য বিতর্ক। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশ এনে ফেলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যসভা থেকেও ওয়াক আউট করে বাংলার শাসকদলের সাংসদেরা। শাহের মন্তব্যের প্রতিবাদে সরব হয়েছে কংগ্রেসও। সংসদ চত্বরেই আম্বেদকরের ছবি নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিরোধী শিবিরের সাংসদেরা। ‘জয় ভীম’ স্লোগানও শোনা যায়। ওঠে শাহের পদত্যাগের দাবিও। সুর চড়িয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। মমমতার দাবি, ‘যা হয়েছে তাতে আসলে ওদের মুখোশ খুলে গিয়েছে। আসলে এই মন্তব্য বিজেপির দলিত-বিরোধী ভাবমূর্তিরই প্রতিফলন।’
এখানেই না থেমে মমতা আরও লেখেন, ‘লক্ষ লক্ষ মানুষ আম্বেদকররে আদর্শের দ্বারা অনুপ্রাণিত। অমিত শাহের এই মন্তব্য তাঁদের সকলের জন্য অপমানজনক। কিন্তু, যে দলের ভিতরে ঘৃণা, ধর্মান্ধতার চাষ তাঁদের কাছে এর থেকে বেশি আর কী আশা করা যায়? আম্বেদকর সংবিধানের জনক। শাহের আপত্তিকর মন্তব্যটি কেবল তাঁর উপরই নয় বরং সংবিধানের খসড়া কমিটির সকল সদস্যের উপর একটি আক্রমণের সামিল।’ কিন্তু, বিতর্কের সূত্রপাত ঠিক কোথায়?
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাজ্যসভায় সংবিধান বিতর্ক চলাকালীন লাগাতার হাত শিবিরের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে দেখা যায় অমিত শাহকে। তখনই আম্বেদকর প্রসঙ্গ নিয়ে বলে বসেন, “এখন এক ফ্যাশন হয়েছে। আম্বেদকর, আম্বেদকর, আম্বেদকর, আম্বেদকর। এত বার যদি ভগবানের নাম নিতো তাহলে সাত জন্ম স্বর্গবাস হত।’’ তাঁর এ মন্তব্যের পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে কংগ্রেস। চাপানউতোর শুরু হয়ে যায় দিল্লি রাজনীতির পাড়াতেও। কংগ্রেস-সহ বিরোধী শিবিরের ক্ষোভের মুখে পাল্টা মুখ খুলতে শুরু করেন পদ্ম শিবিরের তাবড় তাবড় নেতারাও। এবার মুখ খুলতে দেখা গেল মমতাকে।