ভাঙড় : “তৃণমূল কংগ্রেসকে (Trinamool Congress) লাগবে না, যুব তৃণমূলই পাঁচ মিনিটের মধ্যে এই ভাঙড়ের বুকে আইএসএফ-কে (ISF) গুঁড়িয়ে দিয়ে যাবে।” ভাঙড়ে প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে শনিবার এ ভাষাতেই হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূলের যাদবপুর-ডায়মন্ড হারবার সাংগঠনিক যুব সভাপতি সোমনাথ বণিক। যা নিয়ে শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। “ওর অস্তিত্ব সঙ্কটের মধ্যে আছে। তাই এ ধরনের অবাঞ্ছিত, অসংসদীয় কথাবার্তা বলে রাজনৈতিক শিরোনামে আসার চেষ্টা করছে। নিজের দলেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করছে।” পাল্টা তোপ দাগলেন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী।
শনিবার ভাঙড়ের গাজিপুরে কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে ধিক্কার মিছিল ও সভা করেন ভাঙড় তৃণমূল কংগ্রেস। কয়েক হাজার দলীয় কর্মী-সমর্থক এদিনের এই মিছিলে পা মেলান। মূল উদ্যোক্তা হিসাবে ছিলেন ভাঙড়ের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আরাবুল ইসলাম। মিছিল শেষে সভা হয়। সেখানে আরাবুল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের যুব নেতা হাকিমূল ইসলাম, শক্তিপদ মণ্ডল, প্রদীপ মণ্ডল, সোমনাথ বণিক সহ অন্যরা। এই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে আইএসএফের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানান তৃণমূলের যাদবপুর-ডায়মন্ড হারবার সাংগঠনিক যুব সভাপতি। তীব্র কটাক্ষবাণ শানিয়ে বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসকে লাগবে না, যুব তৃণমূলই পাঁচ মিনিটের মধ্যে এই ভাঙড়ের বুকে আইএসএফ-কে গুঁড়িয়ে দিয়ে যাবে। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভাঙড়ে তৃণমূল ছাড়া আর কেউ থাকবে না।”
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে একই সুর শোনা যায় তাঁর গলায়। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পাঁচ মিনিট এখানে আইন তুলে নিলে যুব তৃণমূল কংগ্রেসই দলকে জিতিয়ে আনার জন্য যথেষ্ট। মূল দল তৃণমলকে লাগবে না। যুব তৃণমূলই ৫ মিনিটে দেখিয়ে দেবে কী খেলা হতে পারে না পারে। গণতন্ত্রে বিশ্বাসী আমরা। গণতন্ত্র মেনেই এই কাজ করব। যদি বিরোধীরা মনে করে এটা হুমকি তো এটা হুমকি। যদি মনে করে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে লড়াই করবে তাহলে করবে।”