কলকাতা : বাড়ি বাড়ি, শ্বাসকষ্ট। হাসপাতালে হাসপাতালে ভিড় বাড়ছে রোগীদের। এরইমধ্যে লাগাতার আসছে শিশু মৃত্যুর খবর। রবিবারের সকালেও শোকের ছায়া। এদিন কাকভোরে ফের আরও দুই শিশুর মৃত্যু হল বিসি রায় শিশু হাসপাতালে (BC Roy Hospital)। বেলা মারা গেল আরও একজন। এই খবর যখন লেখা হচ্ছে তখন এই নিয়ে টানা ৯ দিনে ৩৭ শিশুর মৃত্যু হল রাজ্যে। তাতেই উদ্বেগ বেড়েছে স্বাস্থ্য মহলের। এদিন ভোরে ও সকালে মারা গিয়েছে মেটিয়াবুরুজ ও মিনাখার দুই শিশু। মেটিয়াবুরুজ সংলগ্ন নাদিয়াল থানা এলাকার বাসিন্দা আতিফা খাতুন। গত রবিবার জ্বর-সর্দি নিয়ে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে তার পরিজনরা। শুরু হয় চিকিৎসা। কিন্তু, কয়েকদিন চিকিৎসা হলেও তার শারীরিক অবস্থার বিশেষ উন্নতি হয়নি। উল্টে অবনতি হতে থাকে বলে দাবি শিশুটির পরিবারের। শিশুটির বয়স এক বছর সাত মাস বলে জানা যাচ্ছে। এদিন সকাল ৬টা নাগাদ তার মৃত্যু হয়।
অন্যদিকে এদিন ভোরেই প্রাণ হারিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মিনাখা থানার অন্তর্গত চৈতল এলাকার এক শিশু। নাম আরমান গাজী। বয়স চার মাস। সূত্রের খবর, বিগত ৬ দিন ধরে ভর্তি ছিল হাসপাতালে। এদিন ভোর চারটে ২০ নাগাদ মৃত্যু হয় তার। কোলের সন্তানদের হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন দুই আতিফা-আরমানের মা-বাবারা। শোকের ছায়া পরিবারে।
সাড়ে দশটা নাগাদ মৃত্যু হয় আরও এক শিশুর। জ্বর-সর্দি-কাশি নিয়ে শিশুটিকে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি হাসপাতালে ভর্তি করে তার পরিজনরা। তারপর থেকে চলছিল চিকিৎসা। এদিন সকাল সাড়ে ১০ টা নাগাদ মৃত্যু তার। গতকাল শিশুটির অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউ বেড প্রয়োজন থাকলেও তা পাওয়া যায়নি। এমনটাই অভিযোগ শিশুটির পরিবারের।
এদিকে কয়েকদিন আগে ব্লাড ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকায় বিসি রায় শিশু হাসপাতালে সমস্যায় পড়তে দেখা গিয়েছিল রোগীর পরিজনদের। সেই খবর সামনে আসতেই শুরু হয় ব্যাপক চাঞ্চল্য। গত বুধবার বনগাঁ থেকে আট দিনের এক শিশুকন্যাকে বিসি রায় শিশু হাসপাতালে রেফার করা হয়েছিল। বিসি রায় হাসপাতালে এসে রক্ত না পেয়ে চরম সমস্যায় পড়ে তারপর। বাড়তে থাকে উদ্বেগ। সংবাদমাধ্যমে এই খবর দেখানো হতেই বিসি রায়ে চালু হয়ে যায় ২৪ ঘণ্টার জন্য ব্লাড ব্যাঙ্ক পরিষেবা। এতদিন সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত পাওয়া যেত পরিষেবা।