AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Haridevpur Bomb Recover: হরিদেবপুর বোমাকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়, আসল কারণ অবাক করছে এলাকাবাসীকে

Haridevpur: হরিদেবপুর থানা এলাকার ৪১ পল্লি ক্লাবের ঠিক উল্টো দিকের রাস্তায় অটোটি দাঁড়িয়ে ছিল।

Haridevpur Bomb Recover: হরিদেবপুর বোমাকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়, আসল কারণ অবাক করছে এলাকাবাসীকে
এই অটো থেকেই বোমা উদ্ধার হয়েছে। নিজস্ব চিত্র।
| Edited By: | Updated on: Apr 24, 2022 | 3:58 PM
Share

হরিদেবপুর: হরিদেবপুর বোমা কাণ্ডে (Haridevpur) চাঞ্চল্যকর তথ্য। দুই অর্থলগ্নিকারী সংস্থার পুরনো শত্রুতার জেরেই এই ঘটনা বলে পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, হরিদেবপুর এলাকার ওই দুই অর্থলগ্নিকারী সংস্থা হল ভৈরব এন্টারপ্রাইজ এবং ভোলানাথ এন্টারপ্রাইজ। অভিযোগ, ভোলানাথ এন্টারপ্রাইজের মালিককে ফাঁসাতেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে ভৈরব এন্টার প্রাইজের মালিক।

পুলিশ সূত্রে খবর, যে অটোটি থেকে বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে সেই অটোটি ছিল ভৈরব এন্টারপ্রাইজের। এই অর্থলগ্নিকারী সংস্থার মালিক ভৈরব দাস। ভৈরবের মদতেই বাবলু এবং স্বপন নামে তাঁর দু’জন শাগরেদ ভোলানাথ এন্টারপ্রাইজের মালিক বিশ্বজিৎ বিশ্বাসকে ফাঁসানোর জন্য অটোটির মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র রেখে দেয় বলে খবর। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ জানতে পারে, ঘটনার দিন রাত্রিবেলা স্বপন বাইক চালাচ্ছিল এবং বাবলু তার পিছনে বসেছিল। অভিযোগ, তারা দু’জন বাইকে চড়ে এসে অটোর মধ্যে বোমা, গুলি রেখে চলে যায়।

কিন্তু দু’দিন পরও বিষয়টি পুলিশের নজরে না আসায় স্বপন নিজেই পুলিশকে ফোন করে খবর দেয়। স্বপনের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে শনিবার বোমা, গুলি, বন্দুক উদ্ধার করে।

কী ঘটেছিল?

বস্তুত, গত ২২ তারিখ অর্থাৎ শুক্রবার কলকাতার হরিদেবপুরের থানার সামনের রাস্তা থেকে কিছু দূরে একটি অটো দাঁড়িয়েছিল। ভিতরেও যদিও কেউ ছিল না। সেখান থেকেই তাজা বোমা, গুলি, পিস্তল উদ্ধার হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে বিষয়টি খুব একটা গুরুত্ব দেননি এলাকার লোকজন। তবে দীর্ঘক্ষণ অটোটি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। সামনে গিয়ে দেখেন পিছনের সিটের সামনে কিছু জড়ো করা রয়েছে। এরপর স্বপন পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ পৌঁছে অটো থেকে বোমা, গুলি, পিস্তল উদ্ধার করে। কে বা কারা এগুলি রেখেছে তা খতিয়ে দেখতে তৎক্ষনাৎ তৎপর হয় হরিদেবপুর থানার পুলিশ।

যেখানে অটোটি দাঁড় করানো ছিল, সেখানে ক্লোজ় সার্কিট ক্যামেরা ছিল। সেই সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেতেই পুলিশ দেখে, ১৮ এপ্রিল ভোর ৩ টে ৩৫ মিনিট নাগাদ স্বপন এবং বাবলু ১৯টি বোমা ও ২টি গুলি ও ১ টি বন্দুক রেখে গিয়েছে। এরপর বাবলু ও স্বপনকে আটক করে। পরে আরও তদন্ত করে মালিক ভৈরব ও আর এক শাগরেদ বাপনকেও আটক করে পুলিশ। রবিবার তাদের তোলা হবে আলিপুর আদালতে।

আরও পড়ুন: Chowbaga Deadbody Found: গ্যারাজের ভিতরে পড়ে দেহ, রবিবাসরীয় সকালে চাঞ্চল্য চৌবাগায়